থাইল্যান্ডে জাহাজডুবি এলাকা থেকে দুই লাশ উদ্ধার



ঢাকা: বাংলাদেশি কার্গো জাহাজ ‘এমভি হোপ’ যেখানে ডুবেছিল তার পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ‍জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ‘ফুকেট নিউজ’।
এছাড়া আরও দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এই খবর প্রকাশ করে থাইল্যান্ডের সংবাদ সংস্থাটি। ‘ফুকেট নিউজ’ জানায়, লাশ দু’টি পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে জার্মান কন্টেনারবাহী জাহাজ ‘বক্সমুন‘। এরপর তারা লাশ দু’টি থাই নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে বৃহস্পতিবার ‘এমভি হোপ’র একটি লাইফবোর্ট থেকে ৫ নাবিককে উদ্ধার করে এই ‘বক্সমুন’।
তবে শুক্রবার উদ্ধারকৃত জীবিত বা মৃত ৪ ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। যদি এ চারজন বাংলাদেশি নাগরিক হন তাহলে এখনও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে সাগর উত্তাল থাকায় থাইল্যান্ডের দক্ষিণে ফুকেট দ্বীপ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি ডুবে যায়। কার্গো জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে আসছিল।কার্গো জাহাজটিতে ১৭ জন নাবিক ছিলেন।
২৩ বছর পুরনো ৯৭ মিটার দীর্ঘ এবং পাঁচ হাজার ৫৫০ টন ওজনের এমভি হোপ জাহাজটি মালয়েশিয়ার মালাক্কা দ্বীপ থেকে বাংলাদেশে আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজটি ছয় হাজার ৫৪৫ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করছিল।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের কারণেই সাগরের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।