কক্সবাজার শতাধিক ব্রীজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একাধিক এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা প্রবল বর্ষণে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জেলায় ছোট-বড় প্রায় শতাধিক ব্রীজ, কালভার্ট ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরপর এখনো স্ব স্ব এলাকায় দেখা মিলেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের প্রায় সব রাস্তায় ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এগুলোর চেয়ে অনেক বড় এক গর্ত তৈরি হয়েছে শহরের অতি গুরত্বপূর্ণ গোলদিঘীর চত্ত্বরে। বর্তমানে উক্ত গর্তটি মরনফাঁদ হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত গোলদিঘীর পাড় থেকে ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনা, বাদশারঘোনাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে সে গর্তে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হচ্ছে লোকজন। তাছাড়া সকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। শুধু গোলদিঘীরপাড় নয়, শহরের বার্মিজ মার্কেট, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, চাউল বাজার, বড় বাজার, প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশ, পেশকার পাড়া, এন্ডারসন রোড, হাসপাতাল সড়কেও বৃষ্টির পানিতে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়েছে। এরপরও বরাবরের মতো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
খোদ ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র রাজ বিহারী দাশের বাস ভবনের সামনের রাস্তার একাধিক গর্তের সৃষ্টি হলেও তিনি তা সংস্কারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কস্থ জাদিরাম পাহাড়ের বাসিন্দা ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় পৌরবাসির দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। তার উপর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শহরের যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না।
তাছাড়া পাহাড়ী ঢলে রামুর চেরাংঘাটা-জাদিমুরা সড়ক, রামু-মরিচ্যা সড়কের একাধিক স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক পানির স্রোতে ভেসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে রামু-নাইক্ষংছড়ি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে। রামু হাইটুপি ভুতপাড়ার বাসিন্দা নুরুল আমিন জানিয়েছেন,গত বছর দফায় দফায় বন্যায় চেরাংঘাটা-জাদিমুরা সড়কের কয়েকটি অংশ বিধ্বস্থ হয়। বিধ্বস্থ সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয় সম্প্রতি। কিন্তু নদী রক্ষা বাঁধের কাজ পুরোপুরি স¤পন্ন না হওয়ার আগেই আবার বন্যার কবলে পড়ে সড়কের ৯০ ভাগ বাঁকখালী নদীতে তলিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে আবারও আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে প্রায় দশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজ-কালভার্টগুলো সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।