অস্ত্রবাজি সন্ত্রাস ঘুষ দূর্নীতি বনায়ন উজাড় ও পাহাড় দখলসহ তার বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বত্তাতলি এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র আব্দুস ছালাম কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার। হতদরিদ্র পরিবার থেকে মেধা ও নানা কারিশমায় এমএমবিএস এর পর বিসিএস (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি বিত্তহীন থেকে কোটিপতি বনে গেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারী সামান্য বেতনে চাকরি করে ডাক্তার আব্দুস ছালাম চড়েন আলিশান নোহা প্রাইভেট গাড়িতে। থাকেন কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোডের এড. শাহওনেয়াজ ভবনের অভিজাত ফ্লাটে। নিষিদ্ধ বেনশন সিগারেট সেবন, পোশাষ-আশাক, ঘর ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, গাড়ির তেল, বাসার বাজারসহ আনুসাংঙ্গিক খরচ মাসে এখন তার লাখ টাকার উপরে। কক্সবাজারের অজপাড়া পল্লী থেকে শহরে এসে মাসিক লাখ টাকা ব্যয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহকারী ডাক্তার আব্দুস ছালামের শুধু এই পরিবর্তন নয়, পরিবর্তন এসেছে তার ধন, সম্পদ ও ক্ষমতার।
জানা গেছে, ছোট্ট কালে টাকা-পয়সার কষ্ট পাওয়ায় তিনি এখন রাত-দিন অবিরাম শুধু টাকার পেছনে ছুটেন।
অভিযোগ উঠেছে, এজন্য ডাক্তার আব্দুস ছালাম সিভিল সার্জন অফিসারকে ম্যানেজ করে সময়ের পর সময় প্রাইভেট রোগী দেখার ব্যস্ততার পাশাপাশি বৈধ-অবৈধ যেভাবেই হউক কাড়িকাড়ি টাকা আর অগাধ সহায় সম্পত্তির জন্য মিথ্যা সার্টিফিকেট বাণিজ্যেও মেতে উঠেন।
শুধু তাই নয়, ডাক্তারী পেশার এই মানুষটি রাতারাতি ধর্ণাঢ্য হওয়ার জন্য সরকারী পাহাড়, বাগান, নালা-নর্দমা এমনকি ব্যক্তি মালিকানাধীন পরের ভিটেবাড়িও কেড়ে নিতে অভ্যস্ত। ফলে তার কৃত কুকর্মে একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়েও বর্তমানে তিনি প্রায় ২২টি নিয়মিত মামলার আসামী। তৎমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার বাদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এছাড়া আরো অনেক বাদি আছেন, যাদের শেষ সহায় সম্বল মাথা গুজাড় ঠাঁইটুকু তিনি কেড়ে নিয়ে ক্রমেই ধর্ণাঢ্যের মিছিলে যোগ দিচ্ছেন। একজন গেজেটেড সরকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্বেও নিজের স্বার্থের জন্য এই আব্দুস ছালাম রাষ্ট্রদ্রোহী হাজারো কুকর্মের সাথে জড়িত থাকলেও অর্থ, শক্তি ও সরকারী ক্ষমতার কারণে তিনি বরাবরই রয়ে গেছেন নিরাপদে। অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও কক্সবাজারে চাকুরীর সুবাদে তিনি পেয়েছেন বার্হ্যকি অনেক সুযোগ-সুবিধা। পেয়েছেন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ নিকটতম এক ঝাঁক বাহিনী।
অভিযোগ উঠেছে, ডাক্তার আব্দুস ছালাম পেশায় চিকিৎসক হলেও এসব বাহিনীর শক্তিতে মাঝে মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত।
ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা হয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স না থাকা সত্বেও ডাক্তার আব্দুস ছালামের নাকি একটি অবৈধ পিস্তল আছে। যা তিনি প্রয়োজনে সুযোগ বুঝে প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে ধমক দেন। তার গ্রামের বাড়ি বত্তাতলি এলাকার বেশকিছু লোকজন জানান, ডাক্তার ছালাম হচ্ছে তাদের বংশ কেন ওই এলাকার প্রদীপ। তিনি ছাড়া তার পরিবার, গোষ্ঠি ও এলাকায় সরকারী পদস্থ কিংবা প্রতিষ্ঠিত আর কোন ব্যক্তি নেই। মাত্র কয়েক বছর আগেও যে ছালামের নুন আনতে পান্তা ফুড়াতো ডাক্তার হওয়ার পর সেই আব্দুস ছালাম এতই বিত্ত ভৈববের মালিক কিভাবে হয়েছেন, তা নিজেরাও জানেন না এলাকাবাসী। তারা বলেন, এক সময় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আব্দুস ছালাম পেশায় ডাক্তার হলেও তিনি মুলতঃ একজন কষাই প্রকৃতির লোক। নিজের টাকা-পয়সা ও ধন-সম্পদের জন্য এমন কোন কুকর্ম নেই যা তিনি করতে পারেন না।
সূত্র জানায়, বহুল আলোচিত-সমালোচিত উক্ত ডাক্তার নামের কলঙ্ক আব্দুস ছালাম মূলতঃ সিভিল সার্জন কাজল কান্তি বড়–য়ার ঘুষ সিন্ডিকেটের প্রধান। তার নেতৃত্বে উক্ত দপ্তরের সরকারী চিকিৎসকদের মধ্যে দূর্নীতিবাজ আরো কয়েকজনের সম্পৃক্ততায় শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা জেলা সিভিল সার্জনের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ৮ উপজেলায় থাকা উপজেলা ভিত্তিক আরো বেশকিছু চাঁদা উত্তোলনকারীদের সহায়তায় হরদম অনৈতিক বাণিজ্যে লিপ্ত।
জানা গেছে, আব্দুস ছালাম গংরা প্রতিনিয়তই কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৫ শতাধিক পল্লী চিকিৎসক, অ-অনুমোদিত ঔষুধের দোকান, ইউনানী, হারবাল, আর্য়ুবেধী, লতা-পাতার ঔষুধ বিক্রেতা এমনকি ঝাঁড়ফোঁক (বৈদ্য) চক্রের কাছ থেকে দৈনিক-মাসিক ও সাপ্তাহিক চুক্তিতে হাজার হাজার টাকা তুলে ভাগ-বাটোয়ারা করেন। বছরের পর বছর ধরে সিভিল সার্জন অফিস নিজেদের সরকারী দায়িত্বের অন্তরালে ছালামরা এই অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আদৌ কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই কক্সবাজারে একদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমুর্তি যেমন ক্ষুন্ন হচ্ছে, অপরদিকে এই দূর্নামের বোঝা চাপছে সরকারের উপর। তাই এ ব্যাপারে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার কক্সবাজারের স্থানীয় ছেলে আব্দুস ছালামকে অন্যত্র বদলীসহ তার সাথে সম্পৃক্ত সকল দূর্নীতিবাজদের বিচার চান কক্সবাজারবাসী।
প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে গত একমাস ধরে জেলার ৮ উপজেলা ও বিভিন্ন স্থান সরেজমিন পরিদর্শন এবং ভূক্তভোগীদের সাথে আলাপে জানা গেছে, সিভিল সার্জন অফিসের উক্ত দুষ্ট চক্র শুধু চাঁদাবাজিতে জড়িত নয়, তাদের ঘুষ খাওয়ার প্রবণতা আরো বিভিন্ন ভাবে বিস্তৃত। পিলে চমকানো তথ্য হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ উক্ত সিভিল সার্জন অফিসের দুর্নীতিবাজরা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত নিজেদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসনের অধিনস্থ ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়েও মাসের শেষে ঘুষের টাকা বেশি পেতে জেলা শহর সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ভূঁইফোড় ঔষুধ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাণিতিক হারে চাঁদা তুলেন। কেউ কেউ এসব দুর্বল ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বিমানে আসা-যাওয়া, মদ, নারী, এয়ারকন্ডিশন, টিভি, ফ্রিজ, গাড়িসহ নানা উপঢোকনও তুলেন বলে জানা গেছে।
আজব বিষয় হচ্ছে, সিভিল সার্জন অফিসের সারাজীবন টুকটাক অনিয়ম-দূনীতি চলে আসলেও কক্সবাজারের স্থানীয় ছেলে ডাক্তার আব্দুস ছালাম যোগদানের পর থেকে নাকি দপ্তরটিতে ঘুষ, দূর্নীতি আগের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেড়ে গেছে।
এছাড়া ডাক্তার আব্দুস ছালাম স্থানীয়তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শুধু উল্লেখিত দূনীতি নয়, স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য প্রতিবছর বিভিন্ন এনজিও, সরকারী-বেসরকারী ভাবে হরেক কর্মসূচী পালনের জন্য বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা কোন কাজ না করেই শুধু ফটো সেশন এবং কাগজে-কলমে ঠিকঠাক করে আত্মসাত করে ফেলেন।
এছাড়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুস ছালাম ও সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে যে, চুক্তি মতো তাদেরকে কেউ টাকা না দিলে, আকষ্মিকভাবে চক্রটি জেলা প্রশাসনের কর্মরত ম্যাজিষ্ট্রেটদের ভুল বুঝিয়ে সহযোগিতা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত করে যখন যাকে ইচ্ছা তার প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় এবং প্রতিশোধ হিসেবে আর্থিক জরিমানা কিংবা জেল জুলুমের মতো ঘটনার সৃষ্টি করে। উক্ত দুষ্ট চক্রের কারনে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা শহর সহ বিভিন্ন স্থানে কথিত ডাক্তার, কবিরাজ, বৈদ্য ও লতা-পাতা চিকিৎসকদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। এ কারণে গ্রামে মা ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পাশাপাশি অপচিকিৎসার ছোবলে পড়ে সাধারণ লোকজন প্রতিনিয়তই ফতুর হয়ে পড়ছেন।
সূত্র মতে, সিভিল সার্জন অফিসের এই দুষ্ট চক্রকে তুষ্ঠ করে বর্তমানে কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ৫শ’ এর বেশি হাতুড়ে ডাক্তার নিয়মিত রোগি দেখছেন। তারা প্রতিদিনই চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি ঔষুধের নামে সাধারণ রোগীদের অখাদ্য-কুখাদ্য লিখে একদিকে মানব স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি করছেন, অন্যদিকে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে।
ডাক্তার আব্দুস ছালামের এত শক্তি কোথায়?
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারী একজন গেজেটেড কর্মকর্তা হয়েও আকন্ঠ দূর্নীতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতায় জড়িত ডাক্তার আব্দুস ছালাম সিভিল সার্জন অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কক্সবাজার জেলা পুলিশ হাসপাতালের ভিজিটিং মেডিকেল অফিসার। ফলে জেলায় কর্মরত ছোট-বড় সব পুলিশ সদস্যরা নানা রোগব্যাধী এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ সহ নিজেদের প্রয়োজনে তার শরণাপন্ন হন। তাই এক কথা-দু’কথা ও দেখাদেখিতে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকের সাথে তার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠাটা অস্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় নিজেদের হাসপাতালের ভিজিটিং মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাক্তার আব্দুস ছালামের প্রতি পুলিশ সদস্যরা সহানুভূতিশীল। তাই বাংলাদেশ পুলিশের মতো মর্যাদাপূর্ণ একটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এই দুর্বলতাকে পূঁজি করে ডাক্তার আব্দুস ছালাম নিজের সকল অপকর্ম বীরদর্পে পরিচালিত করেন। পুলিশও একজন গেজেটেড অফিসার, তার উপর নিজেদের চিকিৎসকসহ নানা কিছু মিলিয়ে চোখলজ্জায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এমনকি ডাক্তার আব্দুস ছালাম কর্তৃক প্রকাশ্যে জুলুম-নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির মামলাতো রেকর্ড করেন না, উল্টো ডাক্তার আব্দুস ছালাম তিলকে তাল বানিয়ে ওই সমস্ত নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মামলায় ঠুকিয়ে দেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজে নির্যাতন করে পুলিশকে ব্যবহার করে ডাক্তার আব্দুস ছালাম ইতিপূর্বে অনেক নিরপরাধ লোকজনকে জেল খাটানোর পাশাপাশি নানান প্রকার হামলা, মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এ অবস্থায় কক্সবাজারের সচেতন মহলের প্রশ্ন- জেলায় এতগুলো ক্লিন ইমেজের চিকিৎসক থাকতে জেলা পুলিশ হাসপাতালে ২২ মামলার আসামী এমন বিতর্কিত ব্যক্তি ডাক্তার নামের কলঙ্ক আব্দুস ছালাম কিভাবে ভিজিটিং মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন? আর দায়িত্ব পালন করছেন বলেই পুলিশ কেন তার কৃত কুকর্মের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না? সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে উক্ত আব্দুস ছালাম বাহিনী কক্সবাজারে কর্মরত একজন সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা ঘটিয়ে পার পেয়ে গেল? কেন পুলিশ আক্রান্ত ওই সাংবাদিকটির নাগরিক অধিকার মামলাটিও রুজু করল না? সেই প্রশ্ন এখন কক্সবাজারবাসীর মুখে মুখে। অতএব অন্তত পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে হলেও ২২ মামলার দাগী আসামী রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডে জড়িত উক্ত বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডাক্তার আব্দুস ছালামকে জেলা পুলিশ হাসপাতালের ভিজিটিং মেডিকেল অফিসারের পথ থেকে অপসারণের দাবি এখন সর্বমহলের। এজন্য তড়িত ফলাফল পেতে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সামরিক, বেসামরিক সকল গোয়েন্দা সংস্থার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ডাক্তার আব্দুস ছালাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে আপনার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা কেন? আপনি মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনা করবেন? নাকি সরকারী দায়িত্ব পালন করবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আব্দুস ছালাম সাংবাদিকদের সাথে এত কথা বলতে রাজি নন বলে সিগারেট টেনে টেনে সটকে পড়েন। এরপর পেছনে পেছনে তার কাছে গিয়ে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি গণমাধ্যমের সাথে আলাপে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন