টেকনাফকে পর্যটনমুখী করে গড়ে তোলা হলে অর্থনীতিতে যোগান হবে মোটা অংকের রাজস্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মত সীমান্ত উপশহর টেকনাফকে পর্যটনমুখী করে গড়ে তোলা হলে পর্যটন মৌসুমে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আগমন বাড়বে। সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিতে যোগান হবে পর্যটন খাত থেকে মোটা অংকের রাজস্ব। সম্ভাবনার দৃষ্টিনন্দিত টেকনাফে পর্যটকদের জন্য রয়েছে কক্সবাজারে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সাথে লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের লীলা নিকেতন বেলাভূমি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ুন আহমদের স্মৃতি
বিজড়িত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, দারুচিনির দ্বীপ নামে খ্যাত চেরা দ্বীপ, ঐতিহাসিক প্রেমের স্মৃতি সম্বলিত ধীরাজ ভট্টাচার্য্য ও রাখাইন তরুণী মাথিনের ইতিহাস সম্মৃদ্ধ মাথিনের কুপ, মোগল আমলের স্থাপত্যের নিদর্শন, সম্রাট শাহ সুজা ও পরিবিবির নামে পরিচিত শাহ পরীরদ্বীপ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থল সীমান্ত বাণিজ্য বন্দর, টেকনাফ বন ও পাহাড় বেষ্টিত বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য সমৃদ্ধ ন্যাচার পার্ক, টেকনাফ মিয়ানমার যাতায়ত ও টেকনাফ সেন্টমার্টিন যাতায়তের ট্রানজিট ঘাট, হোয়াইক্যংয়ের ঐতিহাসিক কুদুম গুহা। কিন্তু সড়ক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত পর্যটনমুখী হোটেল মোটেল ও স্থাপনার উন্নয়ন না হওয়ায় পর্যটক বিমুখ হচ্ছে বার বার। তাতে করে সরকার হারাচ্ছে পর্যটন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উখিয়া উপজেলার থাইংখালী থেকে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন, উপরোল্লেখিত স্থাপনা ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো পর্যটক আকৃষ্ট করে গড়ে তোলা, পর্যটকদের রাত যাপনের জন্য টেকনাফ শহর ও প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে উন্নত মানের হোটেল মোটেল নির্মাণ করে টেকনাফকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তুলা হলে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আগমন বাড়বে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। বর্তমান মহাজোট সরকার মতায় আসার পর থেকে শোনা যাচ্ছে, দেশজুড়ে উন্নয়নের ফুলজুড়ির কথা। কিন্তু টেকনাফব্যাপী চোখ দিলে দেখা যায়Ñ উন্নয়নের কথা শুধু মুখের বুলি ছাড়া কিছুই নয়। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের থাইংখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ৬৪ কিঃ মিটার সড়ক এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানের ঝুঁকিপূর্ণ বিশটির মতো ছোট বড় কালভার্ট এবং টেকনাফের পর্যটক আকৃষ্ট করার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর কোন উন্নয়ন না হওয়াতে দেশী-বিদেশী পর্যটক আগমন বার বার বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে টেকনাফের নামটি দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সড়কের প্রতিটি ষ্টেশন ও পরতে পরতে খানা-খন্দকে ভরা মনে হয় না যে এটা একটা নিরাপদ সড়ক। যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা যাত্রী সাধারণকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। বিগত ৪ বছরে ৪ বার সড়ক মেরামত ও নির্মাণের বাজেটের কথা শুনে আসছি। সম্প্রতি আবারও বিশাল একটি বাজেট ঘোষণা কথা শুনা গেলেও এখনও পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের কোন কাজ শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট সওজ বিভাগ। এতে করে উখিয়া-টেকনাফ সংশ্লিষ্ট  সাধারণ জনগণ সড়ক মেরামত করা না হলে আগামীতে মহাজোট সরকারের ভরাডুবিরও আশংকা করছে। স্থানীয় অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি, টেকনাফকে পরিকল্পিতভাবে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান ৃৃটেকনাফে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী । অনেকে জমিও কিনেছেন। দেশের অনেক বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আছে যাঁরা কক্সবাজার কলাতলি সহ আশপাশ এলাকায় হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন