ঢাকা: বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের সংখ্যা এক হাজার ৫৬টি বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
মন্ত্রী বলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন-২০০৬’র ধারা-২ এর দফা ১০ অনুযায়ি দরিদ্র অর্থ ভূমিহীন বা বিত্তহীন এমন কোনো ব্যক্তি এবং নির্ধারিত কোনো ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হবে।
মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার এক প্রশ্নের উত্তরে শফিক আহমেদ বলেন, বর্তমানে বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত ৪৮ হাজার ৭৩০ জন আইনজীবী রয়েছেন।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন আদালতে পাঁচ বছরের অধিক অনিষ্পন্ন অর্থ্যাৎ দীর্ঘমেয়াদী বিচারাধীন ফৌজদারী মামলার সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৩০৪টি এবং দেওয়ানী মামলার সংখ্যা এক লাখ ১৯ হাজার ৩১টি।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী বিচারাধীন মামলাসমূহ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশে নিম্ন আদালতসমূহে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় উক্তরূপ কোনো বিশেষ বেঞ্চ গঠনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আশু সম্ভবনা নেই। তবে মামলাগুলো নিষ্পত্তির নিমিত্তে ইতোমধ্যেই দেওয়ানী কার্যবিধি সংশোধন করে দেওয়ানী মামলাসমূহ বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অপরদিকে, ফৌজদারী মামলাসমূহ দূত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এবং ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ফৌজদারী কার্যবিধির সংশোধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মো. হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, উপজেলা সদরে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবী, আইনজীবীদের ব্যবহারের জন্য বার লাইব্রেরি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনের পুস্তক না থাকার কারণে এপর্যায়ে উপজেলা সদরে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
তবে জেলা সদর থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ও যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধা বিবেচনা করে জেলা হতে কিছু কিছু উপজেলা সদরে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত স্থানান্তর করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি
- See more at: http://www.bengalinews24.com/good-news-everday/2013/06/27/8755#sthash.Vv7AORtX.dpuf