ট্যাবলেটের চাহিদা বাড়ছে

ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের পাশাপাশি সম্প্রতি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল ও রবি থ্রিজি সুবিধা চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে থ্রিজি সমর্থিত যে কোন ডিভাইসের চাহিদা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। থ্রিজি সমর্থন থাকায় হালের স্মার্টফোনের পাশাপাশি ট্যাবলেট পিসির ছোট সংস্করণ মিনি ট্যাবের দিকে রয়েছে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ। মূলত কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের সব সুবিধা এতে থাকায় সহজেই গ্রাহক আকৃষ্ট হচ্ছে।


গুগল নেক্সাস : গুগলের প্রথম ট্যাবলেট হলো নেক্সাস ৭।
এর হার্ডওয়্যার নির্মাণ করেছে আসুস। এতে রয়েছে ১২৮০ বাই ৮০০ রেজুলেশনসমৃদ্ধ ৭ ইঞ্চি স্ক্রিন, এনভিডিয়া টেগরা থ্রি কোয়াড-কোর প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট অথবা ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ। এর অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিন। এতে ওয়াই-ফাই, বস্নুটুথ, এনএফসি এবং অপশনাল হিসেবে সেলুলার সুবিধা রয়েছে। একবার চার্জে ১০ ঘণ্টা চলতে সক্ষম গুগল নেক্সাস ৭। এর মূল্য ১৮ হাজার টাকা। গুগল নেক্সাস ৭-এর বড় সংস্করণ গুগল নেক্সাস ১০। এতে রয়েছে ২৫৬০ বাই ১৬০০ রেজুলেশনসমৃদ্ধ ১০ ইঞ্চি স্ক্রিন, ডুয়াল কোর এআরএম কর্টেক্স এ১৫ প্রসেসর, কোয়াড কোর মালি টি৬০৪ গ্রাফিক্স প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট অথবা ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৫ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা, ১.৯ মেগাপিক্সেল সামনের ক্যামেরা এবং ১১ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ সংস্করণ। এর মূল্য ৩৫ হাজার টাকা।

আসুস ট্যাবলেট : আসুসের ট্রান্সফর্মার প্যাড একটি শক্তিশালী স্টাইলিশ ট্যাবলেট। পাতলা এবং হালকা ট্রান্সফর্মার প্যাডে রয়েছে ১৯২০ বাই ১২০০ রেজুলেশনসমৃদ্ধ ৭ ইঞ্চি পুল এইচডি স্ক্রিন, শক্তিশালী এনভিডিয়া টেগরা থ্রি কোয়াড কোর প্রসেসর, ৩২ গিগাবাইট অথবা ৬৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৮ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল সামনের ক্যামেরা এবং ৯.৫ ঘণ্টা ব্যাটারি সুবিধা। এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.০.৩ 'আইসক্রিম স্যান্ডউইচ'। এর মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। আসুসের ফোনপ্যাড ট্যাবলেট পিসিতে রয়েছে থ্রিজি মোবাইল ডেটা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি ফোনকলের সুবিধা। এটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলিবিন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম প্লাটফর্মের ১.২ গিগাহার্জ ইন্টেল এটম প্রসেসরে চালিত ট্যাবলেট পিসি। ট্যাবলেট পিসিটিতে আরও রয়েছে ১ জিবি র‌্যাম, ৮ জিবি ডেটা স্টোরেজ, ডুয়াল ওয়েবক্যাম, ৮০২.১১ বি/জি/এন ওয়্যারলেস ল্যান, বস্নুটুথ ৩.০ জিপিএস, মাইক্রো ইউএসবি ২.০ ইন্টারফেস প্রভৃতি। সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা পাওয়ার ব্যাকআপে সমৃদ্ধ এই ট্যাবলেট পিসিটির মূল্য ২৪ হাজার টাকা।

স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ও নোট : স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ২ দেখতে অনেকটা আইপ্যাড মিনির মতো। এতে রয়েছে ১০২৪ বাই ৬০০ রেজুলেশনসমৃদ্ধ ৭ ইঞ্চি স্ক্রিন, ১ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস ওএমএপি প্রসেসর, ৮, ১৬ বা ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৩ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা, ভিজিএ সামনের ক্যামেরা এবং ৫ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ। এতে অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ 'আইসক্রিম স্যান্ডউইচসহ অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিনে হালনাগাদ করা যাবে। এর মূল্য ২০০ ডলার। স্যামসাং গ্যালাক্সি নোটে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করাসহ, প্ল্যান করা এবং যে কোন ধরনের স্কেচ আঁকা যায় খুব সহজেই। এতে রয়েছে ১২৮০ বাই ৮০০ রেজুলেশনসমৃদ্ধ ১০.১ ইঞ্চি স্ক্রিন, ১.৪ গিগাহার্জ ইক্সিনোস কোয়াড কোর প্রসেসর, ১৬, ৩২ অথবা ৬৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৫ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা, ১.৯ মেগাপিক্সেল সামনের ক্যামেরা এবং ১০ ঘণ্টা ব্যাটারি সুবিধা। এতে অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ 'আইসক্রিম স্যান্ডউইচসহ অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিনে হালনাগাদ করা যাবে। এর মূল্য ৪৯৯ ডলার।

আইপ্যাড ম্যাক্সি : যারা বড় আকারের ট্যাবলেট পছন্দ করেন তাদের জন্য ১২ দশমিক ৯ ইঞ্চি মাপের একটি হালকা-পাতলা আইপ্যাড বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। এ ট্যাবলেটটির নাম হতে পারে 'আইপ্যাড ম্যাক্সি'।
আল্ট্রাবুক বা হালকা-পাতলা ল্যাপটপগুলোর সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতা করতেই বড় মাপের হালকা-পাতলা ট্যাবলেট বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। ২০১৪ সালের শুরুতে বড় মাপের ট্যাবলেট বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। ডিজিটাল পাঠ্যবই ও শো উপকরণ হিসেবে এটি জনপ্রিয়তা পেতে পারে। চলতি বছরে হালকা-পাতলা মডেলের ৯.৭ ইঞ্চি মাপের নতুন সংস্করণের আইপ্যাডের সঙ্গে আইপ্যাড মিনির নতুন সংস্করণের ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল।

এইচপি টাচপ্যাড : বিশ্বজুড়ে ট্যাবলেট পিসি নিয়ে প্রযুক্তির অঙ্গনজুড়ে যত আলোচনা চলছে, তাতে নতুন মাত্রা এনেছে এইচপি। মাত্র ০.৭ কিলোগ্রাম ওজনের এইচপির টাচপ্যাডে রয়েছে ৯.৭ ইঞ্চি মাপের পূর্ণ স্পর্শকাতর স্ক্রিন ও এতে ব্যবহার করা হয়েছে কুয়ালকম প্রসেসর, যা টাচপ্যাডে কাজ করার গতি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। 'টাচপ্যাড' নামের এই ট্যাবলেট কম্পিউটারে রয়েছে ১৬ ও ৩২ গিগাবাইটের মেমোরি, ১.২ গিগাহার্জ প্রসেসর, ১৮ বিট রঙিন মাল্টিটাচ স্ক্রিন, ১ গিগাবাইট র‌্যাম, ওয়াইফাই, জিপিএস, ১.২ গিগাহার্জের ডুজলেকোর প্রসেসর, কম্পাস, ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক ও চার্জার। ২.০ হাইস্পিড মাইক্রোইউএসবি কানেক্টর। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে ওয়েবওএস। এইচপি টাচপ্যাডই প্রথম ট্যাবলেট কম্পিউটার, যেটিতে ওয়েবওএস সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছে। সংবাদ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন