স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত মহেশখালী : দুই ডাক্তারের অনুপস্থিতিতেও বেতনভাতা

মহেশখালী সংবাদদাতা: কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলার অবহেলিত মহেশখালীবাসি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মহেশখালীর প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বিভিন্নভাবে উপেক্ষিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি মহেশখালীর সর্ব দক্ষিনে প্রায় সাতাশ কিঃ মিঃ দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় এবং অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে জরুরী ভিত্তিতে রোগি নিয়ে হাসপাতালে পৌছানো সম্ভব হয়না
এক্স-রে মিশিন থাকলেও হাসপাতাল প্রতিষ্টার পর থেকে টেকনেশিয়ান না থাকায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না একমাত্র এমব্যুলেন্সটি র্দীঘদিন ধরে নষ্টএরই মাঝে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ দিন থেকে ডাক্তার প্রয়োজনীয় লোকবল সংকটের কারণে একটি পৌরসভা ৮টি ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন সু-চিকিৎসা পাচ্ছেনা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত উত্তর মহেশখালীর পাঁচটি ইউনিয়নের আড়াই লাখ দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠি প্রত্যেকটা ইউনিয়নে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও ডাক্তার এবং প্রয়োজণীয় জনবলের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মাবুদ
মহেশখালী হাসপাতালে ২জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পদায়ন হলে দীর্ঘ দিন থেকে তারা নিয়মিত ভাবে মহেশখালী হাসপাতালে বসে চাকরী করেনা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ২জন মহেশখালী হাসপাতালে কর্মরত আছে বিষয়টি স্থানীয় জনগন জানেনা জানে শুধৃ মাত্র হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণকারী অফিস ডাক্তার ২জনের একজন হলেন নুরুল আলম শিশু বিশেষজ্ঞ ,অপরজন হলেন সুনীল বড়য়া এমডি কার্ডিওলজী(হাড়) বিশেষজ্ঞ ২জন সরকারে গুরু দায়িত্ব নিয়ে কক্সবাজার সদরে বসেই চাকরী করেন উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মাবুদের নিকট এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান , সপ্তাহে ২দিন অত্র হাসপাতালে আসে ২দিন কর্মস্থলে আসার বিষটি সরকারী নিয়ম কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আব্দুল মাবুদ কোন উত্তর দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন
সূত্রের অভিযোগ, অনেক সময় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের প্রাইভেট চিকিৎসা বাণিজ্যের কারণেও গরীবের হাসপাতাল নামে খ্যাত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অনেকটা বাধ্য হয়ে মূখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গ্রামের বঞ্চিত জনগোষ্ঠি মহেশখালীর ৮টি ইউনিয়নে প্রায় তিন লাখ জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবায় চারজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়ে কোন মতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা এছাড়া বিচ্ছিন্ন উপদ্বীপ ধলঘাট মাতারবাড়ী দু-ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবায় একজন ডাক্তার হওয়ার কারণে সময়ের টানা হেঁচড়ায় পড়ে দীর্ঘ অনুন্নত পথ পাড়ি দিয়ে দু-ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে এমন অভিযোগ ধলঘাট,মাতারবাড়ী ইউনিয়নের অবহেলিত জনগোষ্ঠির
জানাযায়, দু-বছর পূর্বে উত্তর মহেশখালীর মধ্যভূমি কালারমারছড়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকাকালে অত্র ইউনিয়ন সহ পার্শ্ববর্তী শাপলাপুর, হোয়ানক বিচ্ছিন্ন উপদ্বীপ ধলঘাট মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মোটামোটি স্বাস্থ্য সেবা পেলেও সময় তাকে অন্যত্র বদলি করার ফলে অনুন্নত অবহেলিত উত্তর মহেশখালীর প্রায় লাখো দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এছাড়া প্রায় সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ সরবরাহ থাকেনা বলেও জানান অনেকেই কালারমারছড়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়নাল আবেদীন জানান, বরাদ্ধ পাওয়া ঔষধের চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি প্রাথমিক প্রয়োজনীয় অনেক ঔষধের সরবরাহ কম থাকায় অনেক সময় আগত রোগিদের ঔষধ দিতে না পারলে তাদের বিভিন্ন রকম মন্তব্য শুনতে হয় অভিযোগ উঠেছে জটিল কঠিন রোগের উন্নত চিকিৎসার পূর্বে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মত হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত যথেষ্ট পল্লী চিকিৎসক না থাকার সুযোগে এক শ্রেণীর হাঁতুড়ে ভূঁয়া ডাক্তারের হাতে ভূল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে অনেকেই সুযোগে দেশের বিভিন্ন শহর থেকে এসে এক ধরনের নাম র্সবস্ব ডাক্তারগণ রোগিদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমতাবস্থায় উত্তর মহেশখালীর হাজার হাজার অতিদরীদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত কল্পে উত্তর মহেশখালীর মধ্যভূমি কালারমারছড়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই

এদিকে মহেশখালী হাসপাতালে দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলেও তারা মহেশখালীতে কর্মরত থাকতে পারছেনা বলে অভিযোগে প্রকাশ মহেশখালী হাসপাতালের বর্তমান স্থানীয় ডাক্তারদের একটা সিন্ডিকেটের কারণে এসব ডাক্তার মহেশখালী হাসপাতাল থেকে বেতন ভাতা তুললেও তারা বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট চিকিৎসা দিয়ে আসছে অপর দিকে মহেশখালী হাসপাতালের সার্বিক অবকাঠামোগত অবস্থান অত্যান্ত নাজুক বলে দাবী করছেন অনেকে রুগী তাদের অভিযোগ হাসপাতালে অনেক সময় খাবার স্যালাইন পর্যন্ত পাওয়া যায়না বিদুতের আলো পাখার ব্যবস্থা নাই বললে চলে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকা কালিন হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোন প্রকার আলো জ্বলেনা আগত রোগীরা নিজেদের মোবাইল ফোনের আলো দিয়ে কোন ভাবে চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে অনেক সময় পানিয় জলের বেশ সমস্যায় পড়তে হয় আগত রুগীদের রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহেও ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের অভিযোগ এসবের পেছনে একটি বিশাল সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে জানাগেছে ৫০ শষ্যার হাসপাতাল ভবন দীর্ঘ দিন আগে তৈরী হলেও এই সিন্ডিকেটের কারণে লোকবল সংকট দেখিয়ে হাসপাতালটি আদৌ চালু হয়নি এমুহুর্তে উপকূলবাসি এসব সমস্যা চিহ্নিত করে দ্বীপ বাসির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন