তিন দিনের হরতালের কথা ভাবছে ১৮ দল

ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি সপ্তাহে আবারো তিনদিনের হরতালের কথা ভাবছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। আগামী মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এ হরতাল হতে পারে বলে দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। দুই-একদিনের মধ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। এর আগে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৭ অক্টোবর থেকে তিন দফায় ২০৪ ঘণ্টা টানা হরতাল পালন করে প্রধান বিরোধী জোট। তবে এই হরতাল কর্মসূচিতে কয়েকটি বাধা আছে।
তা হলো- ২০ নভেম্বর বুধবার তারেক রহমানের জন্মদিন, পরদিন সশস্ত্র বাহিনী দিবস। সে কারণে তিনদিনের হরতালের চিন্তা থেকে সরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোববার অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে এ রায় তারেকের বিরুদ্ধে গেলে বিএনপি আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি পালন করবে কি না সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত না হলেও রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে থাকাবস্থায় হরতাল না দিলেও তিনি চলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের হরতাল দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সোমবার এ কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সশস্ত্রবাহিনী দিবস হওয়ায় সেদিন হরতাল নাও দেয়া হতে পারে বলেও সূত্র জানায়।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছান নিশা দেশাই বিসওয়াল। তিনদিনের এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সোমবার তিনি নয়া দিল্লি যাবেন বলে জানা গেছে।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছে, সফরকালে দিশাই প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন।

গত ৮ অক্টোবর টানা ৭২ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেয়ার পর ওইদিন রাতে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির তিন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ পাঁচ শীর্ষ নেতাকে।একই সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতাদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া দলের চেয়ারপারসনের বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় বিএনপিসহ ১৮ দলের শীর্ষ নেতারা সবাই আত্মগোপনে চলে যান। এখনো অনেকে গ্রেফতার-আতঙ্কে আত্মগোপনেই আছেন।

চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ১৮ দলের শরিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়া বৈঠক না করতে পারলে প্রয়োজনে টেলিফোনে আলাপ করে কর্মসূচি ঠিক করা হতে পারে।

সবশেষ ৭ অক্টোবর স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকে চলতি সপ্তাহে হরতালের বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন