নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফ উপকুল দিয়ে মালয়েশিয়া মানব পাচার বন্ধ হচেছনা। টেকনাফ দমদমিয়া ও শাহপরীর দ্বীপ বিওপি চৌকির বিজিবি ফের ২১ মালয়েশিয়াগামী আটক করে। এদিকে টেকনাফ’কে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে আদম পাচার চক্র উপকুল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচার অব্যাহত রাখে। ৮ নভেম্বর শুক্রবার দমদমিয়া বিওপি চৌকির জওয়ানরা দমদমিয়া চেকপোষ্টে টেকনাফগামী একটি সৌদিয়া বাস (চট্রমেট্রো-ব- ১১-০২৩৭) তল্লাশি চালিয়ে ১৫ মালয়েশিয়াগামী আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছে, যশোর মনিরামপুর এলাকার শহিদ রানা, সারসার ওয়াজেদ, নূরুজ্জামান, তাজউদ্দীন, শাহনুল, মোঃ মাহবুর, মনু হোসেন, আলাল গাজী, নরসিংদী রায়পুরার মোঃ রফিকুল, মিজান মিয়া, মোঃ শফিক, ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ড শরিফুল, মোঃ সিদ্দিক, ইসলাম মোল্লা ও মোঃ সোহাগ আলী।
একইদিন ভোরে শাহপরীরদ্বীপ বিওপি চৌকির জওয়ানরা শাহপরীরদ্বীপ ঘোলাপাড়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে ৬ মালয়েশিয়াগামী আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছে, বরিশালের মোঃ মামুন, বাগের হাটের মোঃ তলিা শেখ, জাহেদ গাজী, জরু গাজী, আজিম গাজী ও গোপাল গঞ্জের আজাদ মল্লীখ।
৪২ ব্যাটলিয়ান বর্ডার গার্ড (বিজিবির) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ক্যাপ্টেন এইচ কামরুল হাসান জানান, অবৈধ পথে মালয়েশিয়া মানব পাচার রোধে বিজিবি তৎপর রয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও যদি তৎপর হয় তাহলে পাচার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর একান্ত সহযোগিতার কথা বলে তিনি।
স্থানীয়রা জানান, মানব পাচার চক্র সাগর পথে ট্রলারের পরিবর্তে জাহাজ ব্যবহার করছে। উক্ত জাহাজ বর্হি নোঙ্গরে অবস্থান করে। ওই চক্র রাতারাতি কোটিপতির স্বপ্নে দেশী-বিদেশী নিরহ লোকজনকে মালয়েশিয়ার নামে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে জাহাজে তুলে দিচেছ। প্রতিবছর আদম পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে অনেক লোক সাগরে প্রাণ হারিয়েছেন। বর্তমানে হাজার হাজার লোক ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার কারাগারে আটক হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মানব পাচার চক্র চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থার দাবী করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন