প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে এমপি’র ভাই শুক্কুর সিআইপির আবেদন

আসুন আমরা আবদুল কুদ্দুস রানার হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিহত করি

শুক্রবার প্রথম আলোর শেষের পৃষ্ঠায় ‘ইয়াবা মামলার আসামি এবার উপদেষ্টা সম্পাদক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হলুদ সাংবাদিকতা দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উখিয়া-টেকনাফের এমপি আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই আব্দু শুক্কুর সিআইপি। তিনি বলেন, প্রথম আলোর কক্সবাজারস্থ নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুস রানা যে একজন ভয়ংকর মিথ্যুক ও হলুদ সাংবাদিক তা শুক্রবারের প্রথম আলোর সংবাদটি পড়লে কারো বুঝার বাকি থাকবে না। শুধু শুক্রবারের এই মিথ্যা সংবাদটি নয়, উক্ত আবদুল কুদ্দুস রানা ইতোপূর্বে আমি ও আমার বড় ভাই এমপি সহ আমার পরিবারের ছোটবড় সবার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ শুক্রবার তিনি লিখেছেন আমি নাকি কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী ২১ লাখ টাকায় কিনে নিয়ে উপদেষ্টা সম্পাদক হয়েছি।
প্রকৃতপক্ষে উক্ত দৈনিকটির সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান আমার এলাকার ছেলে। তিনি একজন সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে আমি তাকে অত্যন্ত সম্মান করি, চিনি ও জানি। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হচ্ছে এই দৈনিকটি আমিতো কিনিই নি, আমি ওই পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদকও নই। অবাক লাগছে, সাংবাদিকতার মত মহান পেশার মুখোশ পড়ে হলুদ সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা কিভাবে ডাহা এই মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করতে পারল। আমি বিষয়টি সকল সংবাদপত্র ও পেশাদার সাংবাদিকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, প্রথম আলোর মত দায়িত্বশীল একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আবদুল কুদ্দুস রানার হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করুন। আসুন আমরা সকলেই মিলে সমাজ থেকে সকল হলুদ সাংবাদিকদের বিতাড়িত করে গণমাধ্যমের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনি।
উল্লেখ্য, দৈনিক প্রথম আলো আগামি ৭ দিনের ভেতর উক্ত মিথ্যা সংবাদটি প্রত্যাহার পূর্বক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন