শুক্রবার প্রথম আলো পত্রিকার শেষের পাতায় ‘ইয়াবা মামলার আসামি এবার উপদেষ্টা সম্পাদক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী সম্পাদক, জনপ্রিয় অনলাইন আমাদের সময় ডটকম ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির স্থানীয় আঞ্চলিক প্রধান ফরিদুল মোস্তফা খান।
পত্রিকার নিজস্ব প্যাডে ই-মেইলে পাঠানো এক প্রতিবাদ বার্তায় প্রথম আলোর মত শীর্ষ একটি দৈনিকে তার সম্পাদিত পাঠক নন্দিত দৈনিক কক্সবাজারবাণীকে জড়িয়ে যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে তিনি বিস্ময় প্রকাশ প্রকাশ করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পুরো সংবাদটিতে সাংবাদিকতার সকল নীতিমালা লঙ্ঘন করে হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নিয়েছেন।
একই সাথে দেশের শীর্ষ ও পাঠকপ্রিয় প্রথম আলোর মত একটি দৈনিক পত্রিকায় কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়া এটি প্রকাশিত হওয়ায় তিনি হতবাক হয়ে এমন দায়িত্বহীন সাংবাদিকতার জন্য প্রথম আলোর কাছ থেকে দুঃখ প্রকাশ অথবা সংবাদটি প্রত্যাহারের আশা করেন। প্রতিবাদ লিপিতে কক্সবাজারবাণী সম্পাদক আরো বলেন, অন্যথায় তিনি বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের আশ্রয় নেবেন।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার থেকে পাঠানো উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান আরো বলেন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপূর্ণ এই সংবাদটির কারণে কক্সবাজারের সর্বাধিক জনপ্রিয় তার দৈনিকটির ৫০ লাখ টাকার মানহানির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে প্রথম আলো পত্রিকার ভাবমূর্তিও চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। কারণ এতে যে ইয়াবা মামলার আসামি আব্দু শুক্কুর ২১ লাখ টাকা দিয়ে কক্সবাজারবাণী কিনে নিয়ে উপদেষ্টা সম্পাদক হয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন, তিনি আদৌ কক্সবাজারবাণীর কেউ নন। এরকম কোন ইয়াবা মামলার আসামি কিংবা অন্য কাউকে কক্সবাজারবাণী বিক্রি করা হয়নি বলেও সম্পাদক উল্লেখ করে জানান, প্রকাশিত সংবাদটির আগের দিন এই প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুস রানা’র ইয়াবা কানেকশন ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত তার পত্রিকায় একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছ থেকে কোন প্রকার বক্তব্য না নিয়ে উক্ত মিথ্যা সংবাদটি তিনি প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবাদ বার্তায় কক্সবাজারবাণী সম্পাদক আরো বলেন, তার পত্রিকায় উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে যার নাম রয়েছে তিনি প্রথম আলোর ২১ জানুয়ারির প্রকাশিত সংবাদের সেই আব্দু শুক্কুর নন। কক্সবাজারবাণীর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে প্রিন্টার্স লাইনে যার নাম যাচ্ছে তিনি অন্য আব্দু শুক্কুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন