আমি কয়বার অবাঞ্চিত হব? অতঃপর তাকেও অবাঞ্চিত ঘোষণা
ফরিদুল মোস্তফা খান: প্রিয় পাঠক, বৃহস্পতিবার আমার সম্পাদনায় প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী ও পেশাগত জাতীয় দৈনিক আমাদের অর্থনীতি এবং আমাদের সময় ডটকম-এ ইয়াবা ও অপরাধ সম্রাজ্যে শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো’র স্টাফ রিপোর্টার ‘এক আবদুল কুদ্দুস রানা’র অপকর্মের হরেক তথ্য ফাঁস হওয়ায় আমার প্রতি তিনি চরম ক্ষিপ্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকতার আড়ালে ইয়াবা বাণিজ্যের কমিশন ও চাঁদাবাজিতে মগ্ন এই বিতর্কিত ব্যক্তি কক্সবাজারে কর্মরত আমার পরম শ্রদ্ধার ও স্নেহের বেশকিছু কলম সৈনিকদের হাতে পায়ে ধরে সহানুভুতি চেয়েছেন তা বড় কথা নয় প্রিয় সাংবাদিক সংগঠন ‘সাংবাদিক ইউনিয়ন’কেও ব্যবহার করে আমার মত একজন পেশাদার সাংবাদিকের প্রতি নজিরবিহীন অবিচার ও মিথ্যাচার করেছেন। অথচ একজন প্রান্তিক সাংবাদিক হিসেবে উক্ত সংগঠনের কাছে আমার প্রত্যাশা ছিল অন্তত একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে নিজের অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অতঃপর ন্যায় বিচার পাবো।
কিন্তু দূর্ভাগ্য পাঠক! সংগঠনটির আমি ন্যূনতম একজন সাধারণ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও কেবল আমার মানহানি এবং সত্য প্রকাশের কণ্ঠরোধ করার জন্য তারা আমাকে অবাঞ্চিত করে ক্ষান্ত হননি, উখিয়া-টেকনাফ থেকে দুই দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা আবদুর রহমান বদি এমপি’র বিরুদ্ধেও বিষোধাগার করা হয়েছে।
যাইহোক প্রিয় পাঠক, একজন প্রকৃত সাংবাদিকের কোন বন্ধু থাকতে পারে না, তাই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদকিতা করতে গিয়ে নিজে এই অবাঞ্চিত ঘোষিত হওয়ার পরও আমার কোন দুঃখ নেই! কারণ প্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এর আগেও আমি আরেকটি সংগঠনের কাছ থেকে অবাঞ্চিত হয়েছিলাম। সেদিনও আমার অপরাধ ছিল আজকের মত কোন সমিতি কিংবা সংগঠনের লেজুড়বৃত্তি করে কোন সত্য গোপন রাখিনি। সাংবাদিকতায় লিপ্ত হওয়ার আগে নৈতিকভাবে যেমনটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে সদা নিজেকে নিয়োজিত রেখে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি সত্য প্রকাশে আপোষহীন থাকব। কেবল সেই প্রতিজ্ঞা রাখতে গিয়েই প্রিয় পাঠক সত্য সাংবাদিকতায় ক্ষিপ্ত শত্রুদের কাছ থেকে বার বার আমি অপদস্থ, হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি। তবুও নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কোনদিন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আপনাদের কাছ থেকে গোপন রেখে আমি কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করিনি। মৃত্যু ও জেলখানার দুয়ারে দাঁড়িয়ে আমি বার বার চেষ্টা করেছি, সমাজের সব অনাচার-ব্যবিচারের সঠিক চিত্র তুলে ধরে আবদুল কুদ্দুস রানাদের মত ভদ্রলোকের মুখোশ পড়া এসব অপরাধীদের আসল চরিত্র উন্মোচন করতে। প্রিয় পাঠক, এই যদি আমার অপরাধ হয়, তবে আমি আপনাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু একজন পেশাদার সাংবাদিক ও নাগরিক হিসেবে একটাই দাবি আমার আপনারাই বলেন, ন্যায়ের পথে চলতে গিয়ে কয়বার আমি অবাঞ্চিত হব? আর যে আমাকে অবাঞ্চিত করেছে সে কে? অতএব প্রিয় পাঠক, আমিও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি, যে আমার সত্য সাংবাদিকতা কেড়ে নিয়ে অপরাধীর পক্ষাবলম্বন করছে। একই সাথে কক্সবাজারের মান্যবর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুুপার ও সামরিক-বেসামরিক সকলের কাছে আমার একটাই প্রত্যাশা আসুন আমরা ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাই। কারণ অপরাধীরা যতই শক্তিধর হোক না কেন প্রাকৃতিকভাবেও তাদের পতন অনিবার্য। যেমনটি আমাদের আগের সকল অপরাধীদের ভাগ্যে জুটেছে। ইতিহাস সেটাই বলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন