
লক্ষ্য করে দেখা যায় অধিকাংশ চালকই অপ্রাপ্ত বয়স্ক,অদক্ষ চালচলনে বেপরোয়া ও লাইসেন্সবিহীন। এসমস্ত আনাড়ি ড্রাইভারই দূর্ঘটনা ঘটানোর প্রধান কারণ। তাছাড়া অবৈধ লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল ও জীপ, ডাম্পার এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মাদক পরিবহন করে আসছে। গতকাল মরিচ্যাস্থ বিজিবি জয়োনেরা এক টমটম চালক পাচারের উদ্দের্শে নিয়ে যাওয়া ৩৮০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং উক্ত ড্রাইভারকে ভ্রাম্যান আদালত ৬ মাসের সাজা প্রদান করেন। সাম্প্রতিক সময়ে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাম্বার প্লেট বিহীন মোটর সাইকেলের উপদ্রব বেড়েই চলছে। জেলায় কি পরিমাণ মোটর সাইকেল, জীপ গাড়ি রয়েছে তা কর্তৃপক্ষের জানা নেই বললে চলে। প্রতিটি উপজেলার প্রধান সড়কে চোখ রাখলে দেখা যায় লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল, টমটম, ডাম্পার ও জীপ গাড়ির অবাধ বিচরণ ও প্রতিযোগিতা। লাইসেন্স বিহীন এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচলের কারণে এদিকে আনাড়ি ড্রাইভারেরা দূর্ঘটনার জন্ম দিয়ে রেহাই পাচ্ছে অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও মোটর সাইকেলসহ এসব গাড়ির মালিকেরা প্রসাশনকে গুরুত্ব দেয়না বললেও চলে। আদালতের অভিযানের পরও দম্বোক্তি সহকারে এসব মোটর সাইকেল চালকদের আলিশান চলাফেরা করতে দেখা যায়। সব চাইতে মজার বিষয় হচ্ছে লাইসেন্স বিহীন অধিকাংশ মোটর সাইকেল ১৫০ সিসির উর্ধ্বে। যদিও বি.আর.টি এর নিয়ম অনুযায়ী জেলায় ১৫০ সি.সি পর্যন্ত মোটর সাইকেল চালার অনুমতি রয়েছে। এব্যাপারে জেলার বি.আর.টি এর কার্যালয়ে কর্মরত আরিফুল ইসলাম টিপু জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৫২৫টি মোটর সাইকেল লাইসেন্স অনুমোদন রয়েছে।
এদিকে লক্ষ্য করে দেখা যায় জেলার আট উপজেলার মোট মোটর সাইকেলের সংখ্যা ২০ হাজারের উর্ধ্বে। তাছাড়া অধিকাংশ এসব যানবাহন নাম্বার ও লাইসেন্স বিহীন হওয়ায় যেকোন ধরনের মারাত্মক দূর্ঘটনা করে পার পেয়ে যাচ্ছে সহজে। ফ্রেন্ডশীপ কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ্ আল শাহীন জানান, প্রশাসনের নাকের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূয়াঁ লাইসেন্স বিহীন এসব যানবাহান চলাচল করলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। প্রশাসন চাইলে নিমিষেই বন্ধ করতে পারে এসব অবৈধ যান বাহন চলাচল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন