মহেশাখালীতে এসএআরপিভি’র সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, মহেশখালী
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএআরপিভি মহেশখালী শাখার উদ্দ্যোগে গতকাল ২২মে সকাল ১০ ঘটিকায় মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের আহমদিয় তৈয়বিয়া সুন্নিয়া মাদ্রসা হল রুমে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসএআরপিভি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রাণালয়ের ক্লাইমেট চেঞ্জ ইউনিটের অধীনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএআরপিভি মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন ও মহেশখালী পৌরসভায় প্রতিবন্ধী ও হতদ্ররিদ্র জনগোষ্ঠিদের নিয়ে “উরংধংঃবৎ জরংশ জবফঁপঃরড়হ ঞযৎড়ঁময ঈড়সসঁহরঃু অপঃরড়হ” নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মৌলভী মোহাম্মদদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধাণ অতিথি ছিলেন সামাজিক ব্যক্তিত্ব সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এম,এমরানুল করিম বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক আবদুস সত্তার, শিক্ষক শফিউল করিম, শিক্ষক আলা উদ্দিন, শিক্ষক শহীদুল্লাহ, মেম্বার ওসমান গনি,মো তারেক আজিজ, নুর হোসেন, মোঃ লোকমান, প্রমুখ। প্রকল্প ইনচার্জ প্রনব কুমার দে তাঁহার বক্তব্যে  প্রকল্পের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের জন অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে উপনীত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি। যার ফলে আবহাওয়া পরিবর্তিত হচ্ছে,সমুদ্রে পৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচেছ এবং বিশ্ব ক্রমাগত দুর্যোগের সম্মুখীন হচেছ। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার ফলে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রধান কারণ গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া। মানব সৃষ্ট দূষণ এবং বনভূমি উজাড় করার ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ আশংখাজনকভাবে বেড়ে গেছে, যা কার্বন-ডাই অক্্রাইড, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের সমন্বয়ে গঠিত। কারণ বিকরিত তাপশক্তি পুনরায় বায়ুমন্ডলে ফিরে যাওয়ার পথে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে,আর ঠিক এভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবী তথা বায়ুমন্ডলের। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে এই গ্রহের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে,বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম- অভিমত পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের লক্ষণ মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশর সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতি সমূহ হল: সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মরুকরণ, নিু ভূমিতে প্লাবন, জীববৈচিত্র ধ্বংস, নদনদীর প্রবাহ হ্রাস, পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, খরা, সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। এই সুন্দর ধরণীকে রক্ষা করতে হলে এবং আগামী দিনের জন্য বাসযোগ্য করতে হলে আমাদের সবার সচেতন হওয়া দরকার। মানবজাতি একদিকে সভ্যতার চরম শিখরে আরোহণ করেছে, আর অন্যদিকে বিপর্যস্তের সম্মুখীন করছে পৃথিবীকে। যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ বিপর্যয় সর্ম্পকে সচেতন ও কৌশলগতভাবে অবস্থানের মাধ্যমে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে। এতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- এসএআরপিভির আখতার ইমাম, নুরুল আলম, আসমাউল হুসনা নিশাত, আবদুল মালেক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিবন্ধী ও তাদের অভিভাবক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন