অনুসন্ধানি প্রতিবেদন-২> বার্মাইয়া শমশুর ইয়াবা ব্যবসার নতুন তথ্য

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী

ইয়াবা ব্যবসায়ী বার্মাইয়া শমশু রহস্য জনক এক ব্যক্তি । এ পর্যন্ত সে অসংখ্য ইয়াবা ট্যাবলেট মামলার প্রলাতক আসমী হলেও নানা কৌশলে আইনের ফাদ থেকে রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে সে । সরকার সংশ্লিষ্ট প্রশ্সনের মাধ্যমে তাকে আটক  করে রিমান্ডে নিলে  তার কাছ থেকে পাওয়া যাবে
ইয়াবার নানান তথ্য । বেরিয়ে আসবে তালিকার বাইরে থাকা অনেক ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসার গড ফাদারের নাম । বাংলাদেশে ইয়াবা ছড়িয়ে দেওয়া বড় গড ফাদারের মধ্যে এই শমশু অন্যতম একজন । মিয়ানমার নাকপুরা কাছারিবিল গ্রামে মোহাম্মদ হোছনের ঘরে তার জন্ম হলেও ইয়াবা ব্যবসার সার্থে বাংলাদেশে প্রতিষ্টিত হওয়া ুছিল তার সব চেয়ে বড় টার্গেট । অবশেষে তার আশা সে পূর্ন করলো । স্থানীয় কিছু প্রভাব শালী ব্যক্তির মাধ্যমে নিলা পূর্ব শিকদার পাড়ায় বাড়ী নির্মান করতে শুরু করলো । পাশাপাশি বড় বড় ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা ।  মিয়ানমারেও বহু বছর জেল কেটেছে ইয়াবা ব্যবসা করার অপরাধে। ইয়াবা ব্যবসা করে  বাম্র্াইয়া শমশু এ পর্যন্ত অনেক মামলার আসামী হয়েছে । সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাকে যে কবার প্রলাতক আসামী করেছে,প্রত্যেক বারই সে মোটা অংকের মাধ্যমে চার্জসিট থেকে পার পেয়ে গেছে । মামালা থেকে সহযে জামিনে মুক্ত হওয়া তার জন্য এটা খুবই সহজ ব্যাপার । কিছুদিন আগে বিজিবি এই ইয়াবা শমশুর বিরুদ্বে আরো একটি মামলা করেছিল । এ মামলাটি হওয়ার কয়েকদি যেতে না যেতে সে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে । জামিনে মুক্ত হয়ে আসার পর এলাকার লোকজনকে বলে বেড়াচ্ছে,৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিনে মুক্ত হয়েছে । শুধু তাই নয়,সে থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মাসে ২০ হাজার টাকা দেয় বলেও এলাকার লোকজনকে বলে বেড়াচ্ছে । একবার থানা পুলিশের  এক এ এস আই এই শমশুকে ধরে নিয়ে আসার চেষ্টাও করে ছিল । নিয়ে আসার পথে অর্ধ লক্ষ টাকার বিনিময়ে থাকে ছেড়ে দিয়েছিল । বর্তমানে সে নিলা মগ পাড়া থাকলেও পূর্ব সিকদার পাড়ায় তার ২ স্ত্রীর জন্য ২ টি ইটের বাড়ি তৈরী করছে । বার্মাইয়া শমশুর ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসে তার পিতা ইয়াবা হোছন । এই ইয়াবা হোছন মিয়ানমার থেকে এক একবার ২০ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসে বলে জানাগেছে । কিছুদিন আগেও ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে এসে সাদ্দাম নামক এক যুবকের বাড়ীতে রাখে । গোপন সংবাদের বিত্তিতে পরের দিন সকালে সাদ্দামের বাড়ীতে অভিযান চালায় কিছু আনছার সদস্য । কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের মনে করেছিল অভিযান করা ব্যক্তিরা র‌্যাবের লোক । ওই সময় ইয়াবাসহ সাদ্দাম,মোঃ হোছন ও জাফর নামক ৩ ব্যক্তি সাদ্দামের বাড়ীর ছাদের উপরে ইয়াবা  পাহাড়া দিচ্ছিল । এসময় অভিযানে যাওয়া আনছার সদস্যরা ইয়াবা ব্যবসায়ী শমশুর পিতা মোঃ হোছনকে ধরলেও কিছু ইয়াবা নিয়ে পালিয়ে যাই অপর ২ জন । ফেলে যাওয়া ইয়াবা গুলো আনছার সদস্যরা কুড়িয়ে নিতে নিতে এক দালাল ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ঘটনা স্থলে এসে দেখতে পায় অভিযান করা ব্যক্তিরা আনছার সদস্য । একথা ওই দালাল বাহিরে গিয়ে সবাইকে বল্লে চারদিক দিয়ে অসংখ্য পুরষ ও মহিলা এসে আনছার সদস্যদের ঘিরে ফেলে এবং তাদের মারধর করে ও ইয়াবা গুলো কেড়ে নেয় । এঘটনায় এক মামলা হয় । চলবে...