রামুতে মহিলাকে অপহরনের চেষ্টা ও মারধর

থানায় নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা

রামু প্রতিনিধি
রামুতে মহিলাকে অপহরনের চেষ্টা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে এ ঘটনায় রামুর সচেতন মহলের মাঝে চাপাঁ ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এব্যাপারে রামু থানায় দুইজনকে আসামী করে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের  করা হয়েছে যার নং-০৮/১৬৪। ৮জুন দুপুর ১টায় রামু এস আর সুপার মার্কেটের পেছনে মন্ডল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহার ও মামলার বাদী সুত্রে জানা যায়,আমার মেয়েকে অবিবাহিত থাকা অবস্থায় রামু পূর্ব মেরংলোয়া দংদিঘির পাড় এলাকার নুরুল আলমের পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামী রাশেদুর ইসলাম বাবুইন্যা(২৮) নানাভাবে উত্ত্যক্ত করিত। তৎসংক্রান্তে আমার মেয়ে আমাকে অবহিত করলে আমি প্রতিবাদ করি এতে করে মামলার এক নং আসামী রাশেদুল ইসলাম বাবুইন্যা ও তার আত্মীয় দুই নং আসামী মন্ডল পাড়া এলাকার মৃত সুলতান আহমদের পুত্র ফোরকান আহমদ আক্রোশ পরায়ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আমি আমার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিই। এদিকে গত ৬জুন পিত্রালয়ে বেড়াতে আসলে আমার মেয়ে  সর্দিজ্বরে অসুস্থবোধ করলে তাকে ব্র্যাক অফিস খেকে সর্দি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার প্রাক্কালে এস আর সুপার মার্কেটের পেছনে দুই নং আসামী ফোরকান আহমদের বাড়ির সামনে আসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা রাশেদুল ইসলাম বাবুইন্যসহ অজ্ঞাত ৩/৪জনের একটি দল আমাদের গতিরোধ করে সিএনজিসহকারে আমার মেয়েকে ধর্ষের উদ্দেশ্যে অপহরনের জন্য ধস্তাধস্তি করে। এ সময় আমার মেয়ে শোরচিৎকার রাশেদুল ইসলাম বাবুইন্যা আমার মেয়ের মুখমন্ডলের দাতের উপরের সারিতে ঘুষি মারিয়া  একটি কাচা দাঁতে গুরতর জখম করতঃ তার গলায় থাকা একটি দুই ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের হার ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়,এ সময় আমি আগাইয়া গেলে আসামী ফোরকান আহমদ উপর্য্যপুরি কিল ঘুষি লাথি মেরে আমার শরীরে মারাত্মকভাবে জখম করে।  শোরগোলে আশেপাশের লোকাজন এগিয়ে আসে আমাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।এদিকে এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার লক্ষে রামু বিএনপি একটি বিবৃতি প্রদান করেছে, বিএনপির বিবৃতিতে উঠে এসেছে, ঘটনার সময় ফোরকান আহমদ কক্সবাজার নিরিবিলি অর্কিডে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সভায় উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তৃণমূল নেতৃবৃন্দের উক্ত সভা অনুষ্টিত হয় বিকাল ৩টায় যা পরদিন স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তিনি পরিকল্পিতভাবে ঐদিন দুপুর ১টার দিকে ঘটনা ঘটানোর পরপরই রামু থেকে কক্সবাজার পৌছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সভায় অংশগ্রহণ করেন। এতেই প্রতিয়ান হয় যে উক্ত ঘটনায় তার উপস্থিতি ও জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্য দিবালোকের মত সত্য।  রামু থানার অফিসার ইনর্চাজ মোকশেদুল মোমেন জানান,মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া  হবে। এব্যাপারে ভূক্তভোগ পরিবার অভিযুক্ত আসামীদের  গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন