পেকুয়ায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৭, ৩ বসতঘর ভাংচুর, ব্যাপক লুঠতরাজ

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি দখল নিয়ে দু‘পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৭ জন নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় দূর্বৃত্তরা ৩ বসতঘরে ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়েছে।
পরে খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামে গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ৭টরি দিকে স্বশস্ত্র হামলা চালিয়ে ৫টি বসতঘর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেকুয়া মৌজার ৭৬নং খতিয়ানের ২৪৫২ বিএস দাগের এক একর ৬শতক জমি স্থানীয় মৃতু তৈয়ম গোলালের পুত্র হাজ্বী বজল আহামদ তার দুই পুত্র মোক্তার ও আকতারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে নুরুল কবির সওদাগর গং এর নিকট বিক্রি করে দেন। এদিকে ঘটনার  দিন ওই জমি বজল আহামদ নুরুল কবির গংদের নিকট দখল হস্থান্তর করতে গেলে মোক্তার আহামদ গংয়ের  ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীরা এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় নুরুল কবির গংয়ের ৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা  হলেন, মাহমুদুল করিম (৩৬), শওকত হোসন (৩৮), আবদুল কাদের (২৫), শামশুল আলম (৪০), নুরুল কবির সওদাগর (৪৫), হেলাল উদ্দিন (৩৫), জাফর আহমদ (৩৫)। 
উক্ত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের গতকাল ভোরে ৭০/৮০জন স্বশস্ত্র ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী জড়ো করে মোক্তার আহমদ গংয়ের লোকজন নুরুল কবির সওদাগরের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা ও বসতঘরে ব্যাপক লুটপাঠ চালায়। এসময় ৫টি বসতঘর ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকারসহ দামি আসবাবপত্র প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ উঠেছে, পেকুয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে সন্ত্রাসীরা এ ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। 
     তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার খবর শুনেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন