মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন: ডাক্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
অভিনেত্রী মিতা নূর ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে ধারণা করছেন তার মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহেল মাহমুদ
সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা।” সোমবার ভোরে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসায় মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ পায় পুলিশ। খবর পেয়ে স্বজনদের পাশাপাশি নাট্য অঙ্গনের কর্মী ও সাংবাদিকরা গুলশানের ওই বাড়িতে ছুটে যান। এই অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি হত্যাকাণ্ড- পুলিশ সে বিষয়ে ¯পষ্ট কিছু বলতে না পারায় সকাল থেকে তৈরি হয় জল্পনা-কল্পনা। সোহেল মাহমুদ বলেন, “আÍহত্যাজনিত মৃত্যুর যতোগুলো লক্ষণ থাকে তার সবগুলোই মিতা নূরের দেহে পাওয়া গেছে।” এছাড়া শরীরের বাইরে বা ভেতরে কোনো ধরনের জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। তবে এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কিডনি, লিভার ও পাকস্থলীর অংশবিশেষ রাসায়নিক পরীক্ষার (ভিসেরা) জন্য রাখা হয়েছে। গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গত কিছু দিন ধরে স্বামী শাহনূর রহমান রানার সঙ্গে মিতার কলহ চলছিল। তাদের কলহের কারণ ছিল নিকেতনে রানার অফিসের ‘কোনো একটি বিষয়’। দুদিন আগে এই দ¤পতির কলহের বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। পরে পুলিশের মধ্যস্ততায় গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১০৪ নম্বর রোডে লেকভ্যালি অ্যাপার্টমেন্টে নিজেদের বাড়িতে ফেরেন তারা। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাপ্তাহিক নাটক ‘সাগর সেঁচা সাধ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মিতা নূরের অভিষেক হয়। ১৯৯২ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অলি¤িপক ব্যাটারির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে ব্যাপক পরিচিত পান। এরপর তাকে নিয়মিত বিভিন্ন নাটকে দেখা যায়। টিভি নাটকে অভিনয় ও মডেলিংয়ের পথ ধরে ২০১১ সালে নাট্য নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিতা নূর। ওই বছর ‘চৌঙ্গালি’ নামের একটি খণ্ড নাটক নির্মাণ করেন তিনি।