নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক রহমান!

আমাদের সময় ডটকম
লন্ডনে বসে আগামী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান। নির্বাচনে পৃথক দুটি আসনে প্রার্থীও হবেন তিনি।
নির্বাচনের আগেই তিনি বাংলাদেশে এসে নির্বাচনে অংশ নেবেন, যদি কোন কারণে তিনি দেশে আসতে নাও পারেন লন্ডনে থেকেই নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, তারেক রহমান ইংল্যান্ডে বসে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন আসনের নমিনেশনের ব্যাপারেও মনিটরিং করছেন। যেই কারণে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা নেতারা পর্যন্ত লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে টেলিফোনে ও তাদের আতœীয়-স্বজনদের মাধ্যমে লবিং এবং কেউ কেউ স্বশরীরে গিয়ে তার সাথে দেখা করে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বচনের টিকিট পাওয়ার বিষয়টি পাকাপোক্ত করছেন বলে সূত্রটি জানায়।
তারেকের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারা টিকেট পাবেন আরা কারা পাবেন না তার অধিকাংশই নির্ধারণ করবেন বিদেশে বসে বিএনপির এই নেতা। তিনিই ঠিক করবেন সিনিয়র কোন কোন নেতাকে নমিনেশন দেয়া যায়। সে ক্ষেত্রে দেশের বিএনপির স্থায়ী কমিটিও তার দিকে তাকিয়ে আছে।
সূত্র জানায়, বগুড়া-১ ও ঢাকার একটি আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির এই নেতা। সেই লক্ষে লন্ডন থেকেই ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যায়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য হচ্ছে, সাজাপ্রাপ্ত নয়, কাগজপত্রে বাংলাদেশি নাগরিক যে কেউ যে কোন নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধা নেই। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, যেহেতু তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন কোন মামলায় এখনও সাজা হয়নি এবং তিনি বাংলাদেশের বৈধ কার্ডধারি নাগরিক, সেহেতু তারেক রহমান হোক আর যেই হোক, যে কেউ জেলে থেকে অথবা বিদেশে থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের আইনে কোন বাধা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, যে যাই বলুক তারেক রহমান বিএনপির আগামী দিনের ভবিষ্যত নেতা। তিনি দেশের দায়িত্ব নিলে দেশ সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। নির্বাচন করার বিষয়ে সূত্রটি জানায়, এমনিতেই আমাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। তাছাড়া তিনি (খালেদা জিয়া) নিজেই বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তরুণদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার কথাও বলেছেন। নেত্রীর এসব বক্তব্য তারেক রহমানকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার-ই ইঙ্গিত বহন করে।
তাই আপাতত এটুকু বলতে পারি, যেহেতু তারেক রহমান কোন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নয়, সেহেতু তার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এটা ধরেই নিতে পারেন তিনি আগামী নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরে আসবেন। এবং দলের পুরো নির্বাচন মনিটরিংসহ নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।