সীমান্তের ১২ টি পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ ভাবে ঢুকছে মিয়ানমার নাগরিক

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী: ঈদকে সামনে রেখে অবৈধ পথে টেকনাফে মিয়ানমার নাগরিকের আসা-যাওয়া বেড়ে গেছে । প্রতিদিন টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে আসছে কয়েক শত মিয়ানমার নাগরিক। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দালালরা অবৈধ ভাবে বিভিন্ন
সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার নাগরিক আনা-নেওয়ার কাজ করে । অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে মিয়ানমার নাগরিক অবৈধ ভাবে প্রায় ১২টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসা-যাওয়া করে যাচ্ছে । এসব ঘাট গুলো হচ্ছে,টেকনাফ,হোয়াইক্যং এর উনচিপ্রাং ঘাট, হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং ঘাট, চৌধুরী পাড়া ঘাট, জাদিমুড়া-ফেরানপুর ঘাট, জাদিমুড়া-রাইম্যবিল ঘাট, নয়াপাড়া গৌজিবিল ঘাট ও নয়াপাড়া মাঙ্গালা ঘাট, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া ঘাট,জালিয়া পাড়া ঘাট,সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া ঘাট,সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়া ঘাট,করিডোর ঘাট ও মিস্ত্রি পাড়া ঘাট। হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং ঘাট নিয়ন্ত্রন করে বিশাল একটি সিন্ডিকেট । নিলা ওয়াব্রাং ঘাট নিয়ন্ত্রন করে আনোয়ার সিন্ডিকেট । নিলা পুরান বাজার কাষ্টমস ঘাট নিয়ন্ত্রন করে সোনামিয়া ওমাহাবু সিন্ডিকেট। ফুলের ডেইল ঘাট নিয়ন্ত্রন করে আবদুল আমিন, জাহাঙ্গীর আলম ও রফিক সিন্ডিকেট । চৌধুরী পাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে জামাল, ছৈয়দ আহাম্মদ ও রুস্তম সিন্ডিকেট। জাদিমোড়ায় ৩টি ঘাট রয়েছে । জাদিমুড়া-ফেরানপুর ঘাট নিয়ন্ত্রন করে নুর হাসিম প্রকাশ গুন্ডামিয়ার ১০ জনের সিন্ডিকেট,জাদিমুড়া-রাইম্যবিল ঘাট নিয়ন্ত্রন করে বদি আলমের ছেলে আব্দুল আমিন,মুনাফ হাজীর ছেলে আমির হামজা, আহামদের ছেলে মোঃ হাছান(৩০), নুরু ছালাম(২৯), হাসেমের ছেলে তৈয়ব সিন্ডিকেট, নয়াপাড়া-গৌজিবিল ঘাট নিয়ন্ত্রন করে আবদু জালাল, আলম, আবুসামার পুত্র কালুমিয়া সিন্ডিকেট, নয়াপাড়া-মাঙ্গালা ঘাট নিয়ন্ত্রন করে নজুমিয়ার ছেলে আব্দু ছালাম, নুর মোহাম্মদ, মীর আহাম্মদের ছেলে আব্দু জলিল সিন্ডিকেট ,জাইল্লা ঘাট নিয়ন্ত্রন করে আবদুইল্লা ও শফি প্রকাশ নোয়াহাইল্লা সিন্ডিকেট, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে ছৈয়দ আলম সিন্ডিকেট(২৯), জালিয়া পাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে মন্জুর সিন্ডিকেট, নাজির পাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে একটি সিন্ডিকেট, মৌলভী পাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে কয়েক জনের একটি সিন্ডিকেট, নয়াপাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে শামশু আলম । শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে কালামিয়া সিন্ডিকেট, করিডোর ঘাট নিয়ন্ত্রন করে বাইলা সিন্ডিকেট। মিস্ত্রি পাড়া ঘাট নিয়ন্ত্রন করে ছলিম প্রকাশ লম্বা ছলিম সিন্ডিকেট। অভিযোগ উঠেছে আদম পাচাকারীরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এসব আদম পাচার করে যাচেছ । সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,এসব ঘাট দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে-সন্ধার পর অবৈধ ভাবে মিয়ানমার নাগরিক পারাপার ও তেল, সার, চিনি সহ বিভিন্ন পন্য মিয়ানমারে পাচার করে যাচ্ছে । স্থানীয় একাদিক সূত্রে অভিযোগ উঠেছে, এসব ঘাটের সীমান্ত এলাকায় যে সব বিজিবির সদস্য দায়িত্ব পালন করে তাদের মধ্যে অনেকে দালালদের সাথে সু-সম্পর্ক সৃস্টি করে ও অর্থের লেনদেন করে দালালদের সহযোগীতা করে । এসব এলাকায় বিজিবির বড় অফিসার কৌসুলী নজর রাখলে টেকনাফ থেকে অবৈধ মিয়ানমার নাগরিক আসা ও চোরাচালান অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল । এব্যাপারে উল্লেখিত ঘাট গুলোতে বিজিবির জনবল বৃদ্ধি ও উর্ধতন কৃর্তপক্ষের সরাসরি কৌশল পূর্বক অভিযান চালালে অনেক পাচারকারী আটক এবং পাচার রোধ করা যাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল ।