দায়িত্বের মেয়াদ নিয়ে শঙ্কিত মেয়ররা

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের চার সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ গ্রহণ করেছেন। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি-সমর্থিত এই সব মেয়রদের প্রধানমন্ত্রী দল মতের উর্ধ্বে উঠে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে নতুন এই মেয়ররা বলছেন, সরকার নিজে যদি দল মতের উর্ধ্বে উঠে তাদেরকে সহযোগিতা করে, তাহলে তাদের জনগনের সেবা করতে কোন অসুবিধা হবে না।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রায় দেড় মাস পর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলো।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খুলনার মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বরিশালের আহসান হাবিব কামাল, রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে এই শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শপথ গ্রহণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব নির্বাচিত এই মেয়ররা দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে জনগণের সেবা করবেন এটা তিনি প্রত্যাশা করেন।

গত জুন মাসের ১৫ তারিখে রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, ও বরিশাল, এই চার সিটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন বিএনপি-সর্মথিত মেয়র প্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এই শপথ অনুষ্ঠানে মেয়রদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন দলের প্রতি তাদের আনুগত্য থাকবে তবে শপথ অনুযায়ী জনগণের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী এমন প্রত্যাশার প্রেক্ষিতে খুলনার মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বলেন সরকার নিজে যদি দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে তাদেরকে সহযোগিতা করে তাহলে তাদের জনগণের সেবা করতে কোন অসুবিধা হবে না। বাংলাদেশে একটি অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দল ক্ষমতায় গ্রহণ করলে স্থানীয় উন্নয়ণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার থেকে যথাযথ সহযোগিতা তারা পান না। সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শপথ গ্রহণের পর তেমনি এক শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শপথ গ্রহণ করলেও কবে তারা দায়িত্ব বুঝে পাবেন সে ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না ।

শপথের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানানো হয় বর্তমান পরিষদের মেয়াদ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকায় নতুন প্রতিনিধিরা এখনি দায়িত্ব নিতে পারছেন না। খুলনার মেয়র মি. মনি এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন সরকার প্রধান তারাদের সহযোগিতা করার যে আশ্বাস দিয়েছেন সেটা কতটা আশাব্যঞ্জক সেটা নিয়ে তার শঙ্কা রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সমস্যা সমাধান ও উন্নয়ন প্রকল্প যেগুলো গ্রহণ করা হয় সেটা মূলত স্থানীয় আয় ও সরকারে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বাস্তবায়ন করা হয়। শহর উন্নয়নে সরকারের কাছে নির্দ্দিষ্ট পরিকল্পনা জমা দেওয়ার পর, সেগুলো বাস্তবায়নে সরকার সময়মত অর্থ বরাদ্দ করছে কিনা তাতেই সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি বোঝা যাবে বলে মনে করছেন এই নব নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।