হোয়ানকে ৫ বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট আহত-১০

সংবাদ দাতা
মহেশখালীতে যুবক হত্যাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি, দোকানপাটে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় মহিলাসহ আহত হয়েছে ১০ জন। ২ দিন ধরে এ ঘটনা চলার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ২ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আর্ন্তজাতিক মানের মানবাধিকার সংস্থা গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি রবীন্দ্র ঘোষ।
জানা যায়, ২৫ জুন সকালে মহেশখালীর হোয়ানকের টাইমবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয় হোয়ানক পূর্ব পুঁইছড়ার মৃত গোলাম কুদ্দুছের পুত্র কামাল হোসেন (৩০)। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ পুঁইছড়ার যতীশ ঘোষের পুত্র শিমুল ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। তাছাড়া হত্যা মামলায় আসামী করা হয় এলাকার নিরহ লোকজনকে। পুলিশের ভয়ে যখন পুঁইছড়া এলাকা পুরুষশূণ্য হয়ে পড়ে ঠিক তখনই রাতের অন্ধকারে মহিলাদের জিন্মি করে সংখ্যালঘুদের ৪টি বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ি ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হন-অঞ্চন ঘোষের স্ত্রী রিনা ঘোষ (৩৫), পরিমল ঘোষের স্ত্রী প্রিয়া ঘোষ (২৫), নিরকমল ঘোষের পুত্র সবুজ ঘোষ (১৫), যতীশ ঘোষের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী ঘোষ (৬৫), প্রণব ঘোষ, উত্তম ঘোষ, ক্ষিতিশ ঘোষ, তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীসহ আরো অনেকে। গুরুত্বর আহত সন্ধ্যা রানী ধর জানান, তার ছেলে শিমুল ঘোষকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর চালায় একই এলাকার চিহিৃত ডাকাত ও সন্ত্রাসী রশিদের ভাই এবং বাহিনীর লোকজন। এঘটনায় তাদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সন্ধ্যা রানী। এঘটনার পর পরেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  
এদিকে এঘটনার খবর পেয়ে ২ জুলাই সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আর্ন্তজাতিক মানের মানবাধিকার সংস্থা গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি রবীন্দ্র ঘোষ। ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনা সর্ম্পকে এলাকার সাধারন লোকজন তাকে সাক্ষ্য দেন এবং স্বচক্ষে তিনি সবকিছু অবলোকন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা মানবাধিকার লংগনের বিষয়। এঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল আলম, মহেশখালী থানার এসআই মোহাম্মদ ইকবাল, এএসআই কানু লাল অধিকারী, হোয়ানক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সুধীর কুমার দে, কক্সবাজার সদর উপজেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম, সাংবাদিক আমিনুল হক, মহেশখালী উপজেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মাস্টার ব্রজগোপাল ঘোষ, হোয়ানক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, সংঘঠিত ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা তিনি শুনেছেন, যদি ভুক্তভোগীরা অভিযোগ নিয়ে আসেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।