পেকুয়ার ফার্মেসীগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধে সয়লাব, চলছে গলাকাটা বানিজ্য

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার হাট-বাজারের অর্ধশতাধিক ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নকল ঔষুধ ছড়াছড়ি চলছে। আর ফার্মেসী মালিকরা শুরু করেছে গলাকাটা বানিজ্য। জীবন রক্ষাকারী এসব
ঔষুধ খেয়ে মানুষের মূত্যু নিশ্চিত করণ শতভাগে পরিণত হয়েছে। পেকুয়ায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী মফস্বলের বিভিন্ন ফার্ম্মেসীর মাধ্যমে কমদামে এসব ঔষুধ বাজারজাত করছে। পেকুয়া উপজেলায় বিশাল একটি প্রতারক সিন্ডিকেট চক্র রয়েছে যারা মফস্বল এলাকা গুলোতে সস্তা মানবিহীন ও ভেজাল ওষুধ গুলো বিক্রি করে থাকেন। পেকুয়ার কয়েকটি নামী-দামী ফার্ম্মেসী গুলোতে এসব ঔষুধ সব চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। এখানে ভ্রাম্যমান আদালতের তেমন একটা অভিযান না থাকায় এখনকার অসাধু ফার্মেসী মালিকরা ভেজাল ও নকল ঔষধগুলো অবাধে বিক্রি করতে সাহস পাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই জীবননাশক এই ওষুধের রমরমা বানিজ্য চলছে পেকুয়ার সাত ইউনিয়নে।
       একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায় পেকুয়া উপজেলার ফার্মেসীগুলোতে সরকারের ড্রাগ টেষ্টিং ল্যাবরেটরির লোকজন কোন কালেই ফার্ম্মেসী গুলোতে অভিযান চালায়নি। এর ফলে ফার্ম্মেসীর মালিকরা মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ গুলো দেদারসে বিক্রি করে চরমভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 
    পেকুয়ার বাজারের জনৈক পাইকারী ঔষুধ সরবরাহকারী বলেন, ঔষুধ কমদামে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসবের পেছনে জড়িত রয়েছে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক নুরুল আলম ও পেকুয়া রাবেতা হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা: হারুন অর রশিদসহ পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের হাট-বাজারের কতিপয় অসাধু অল্প শিক্ষিত পল্লী চিকিৎিসকরা। এসব ঔষুধ সেবনের পর উপকার তো নয়ই উল্টো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে পরবর্তীতে আসল ঔষুধ ও তার কাজে আসছে না। ফার্ম্মেসীর এক মালিক বলেন, দেশের উন্নতমানের কোম্পানীর ঔষুধ বেশি বাজারে নকল হচ্ছে। টেস্ট ছাড়া এ সব ঔষুধ নকল মাল যাচাই করা সম্ভব না হওয়ার সুযোগটি নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। 
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেকুয়ার ফার্মেসীগুলোতে তদারকী করার জন্য সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া বাজার ও চৌমুহুনীর কয়েকটি নামকরা ফার্মেসীতে ভেজাল ঔষুধে সয়লাব হয়েছে। আর এসব ফার্মেসীর মালিকরা ভেজাল ঔষদ বিক্রি করে গলাকাটা বানিজ্যে নেমেছেন।