টেকনাফে সন্ত্রাসী দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ২০



কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জন নিহত ও পুলিশসহ ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  নিহতরা হলেন, রঙ্গিখালী এলাকার জাবের আহমদের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩৫) ও একই এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে শাহজালাল (২৫)।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা প্রণব চাকমা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ সদস্য কিরণ, টেকনাফের রঙ্গিখালী এলাকার আবদুল আমীন (৩৫), শাপলাপুর এলাকার হামিদুল্লাহকে (৩০) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, রঙ্গিখালী এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর একটি পক্ষের নেতৃত্বে দেন ওই এলাকার শফিক, অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ভুলাইয়া বৈদ্য। দুপুরে এ দুই গ্রুপের কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। এ ত্রি-মুখী গুলি বিনিময়ের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অনন্ত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের মধ্যে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, মৃত দুই ডাকাত সৈয়দুল আমিনের বিরুদ্ধে ১২টি ও শাহজালালের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে। টেকনাফ থানার তদন্ত কর্মকর্তা দিদারুল ফেরদৌস জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে আটক কর‍া হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও একটি কিরিচ উদ্ধার করেছে বলে তিনি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন