কক্সবাজার সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনের গড়িমসি অভিযোগ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলা সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ কেরুণখালী ও ডুলখালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির কর্ম এলাকায় জেলা সমবায় ও চকরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসারের
যোগসাজসে  মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে  অপর একটি সমিতি চরণদ্বীপ বদুরবাপরে পাড়া ও টেইক্কারদিয়া পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কে নিবন্ধন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,  কেরুণখালী ও ডুলখালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ওই অপর সমিতির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে।  এ অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সহকারী নিবন্ধক বাহালুল আহমদ চৌধুরীকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। উক্ত প্রতিবেদনে চরণদ্বীপ বদুরবাপের পাড়া ও টেইক্কারদিয়া পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিটি আইন ও বিধিবিধান প্রতিপালন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসারণ করে নিবন্ধত হয়নি।  এছাড়া তিনি আরো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কেরুণখালী ও ডুলখালী নামক খাল দুটি ইজারা পাওয়ার লক্ষে একই কর্মএলাকায় একই শ্রেনী ভুক্ত দু’টি সমিতি সংগঠিত ও নিবন্ধীত হওয়া উভয়ের অবস্থান সাংঘর্ষিক এবং ভবিষ্যতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভবনা বিদ্যামান। এমতাবস্থায় পূর্ববর্তী সমিতি কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে নিবন্ধিত সমিতির নিবন্ধন আদেশ বাতিলের আবেদনটি যুক্তিক। 
উক্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দপ্তরের যুগ্ম নির্বন্ধক মো: কামরুল ইসলাম গত ২০ জুন স্বারক নং ৪র্থ-৩৪৮০/০৪(৪থ খন্ড)-(১৩১২) মুলে জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে চরদ্বীপ বদুরবাপরে পাড়া ও টেইক্কার দিয়া পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: এর নিবন্ধন বাতিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযোগ উঠেছে, জেলা সমবায় কর্মকর্তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে গড়িমসি শুরু করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।