ইন্টারনেট সেন্সরশিপের তালিকার তলদেশে বাংলাদেশ


প্রযুক্তি ডেস্ক: ইন্টারনেটে ক্রমবর্ধমান নজরদারি ও সেন্সরশিপের আওতায় সবচেয়ে খারাপ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় ৮১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪ নম্বরে। আর দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের নীচে আছে শুধুমাত্র পাকিস্তান আর নেপাল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশন এ বিষয়ে ‘ওয়েব ইনডেক্স’ প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এদিক থেকে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড হচ্ছে ইয়েমেনের। মুক্তভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিচারে এই সূচকে সৌদি আরবের স্কোর শূন্য। তবে সর্বপরি ইনডেক্সে তাদের অবস্থান ৬৯ তম।
মুক্তভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিচারে সৌদি আরবের পরেই ভিয়েতনাম এবং চীনের অবস্থান। এই সূচকে মুক্তচিন্তা ও স্বাধীনতার বিচারে বাংলাদেশের স্কোর ৪০ দশমিক 

৩। আর মুক্তচিন্তা ও স্বাধীনতার বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৬তম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মতে, ‘ক্রমবর্ধমান নজরদারি এবং সেন্সরশিপের’ কারণে ইন্টারনেটের গণতান্ত্রিক চরিত্র হুমকির মুখে।
‘ওয়েব ইনডেক্স’ সূচকে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তিরিশ শতাংশ দেশে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে আলোচনায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে এ বছরের ওয়েব ইনডেক্সের একটা উৎসাহব্যঞ্জক দিক হচ্ছে বিশ্বের সব প্রান্তেই মানুষ এখন ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের সংগঠিত করছে এবং নানা অন্যায়-দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু সরকার মানুষের এসব পদক্ষেপকে হুমকি বলে গণ্য করছে। ক্রমবর্ধমান নজরদারি এবং সেন্সরশিপ গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে বিপন্ন করছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন