রাজনৈতিক জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে!

সিবিএন: প্রতিনিয়ত নাটকীয় মোড় পবির্বতন আর তথাকথিত চমক লাগোনা নতুন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে রাজনীতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বাংলাদেশ বিভূঁইয়ে এ জল্পনা-কল্পনা বি¯তৃত হয়েছে বহির্বিশ্বেও। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ’র নাটকীয়ভাবে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়া এবং সর্বশেষ গতকাল জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী একাংশের কর্ণদ্বার সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দিয়ে এ জল্পনা-কল্পনাকে আরো ঘণিভূত করেছেন। দিয়েছেন নতুনত্ব। সৃষ্টি করেছেন ডালাপালা।
দেশের বোদ্ধামহল মহল মনে করছেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যোগ দেয়াতে কোন শুভ লক্ষণ নেই। বরঞ্চ সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ-সমঝোতার অনিশ্চয়তার আগুনে ঘি ঢেলেছেন তিনি।
তারা মনে করছেন, সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে দেশ-বিদেশের সমালোচনা ও ঘৃণার পাত্র বনে গেছেন জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও এ অপযাত্রার সামিল হলেন।
এদিকে শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মধ্যে বহুল কাঙ্খিত যে অঘোষিত বৈঠক হয়েছে তাতে কোন ধরণের সংলাপ-সমঝোতা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিদেশীদের বহু চেষ্টা-তদবির এবং সরকার ও বিরোধী জোটের শীর্ষস্তরে বৈঠক হয়েও ভেস্তে যাওয়ায় সংলাপ-সমঝোতা অনেকটা অনিশ্চিয়তায় মুখে পতিত হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। সব কিছু পেছনে ফেলে সর্বশেষ গতকালও সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ জোটের প্রতি আহ্বান; এটাও সে ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এ প্রস্তাব কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে বহুল আলোচিত সংলাপ হচ্ছেই না! এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও নতুনভাবে জন্ম নিচ্ছে শঙ্কা আর হতাশা।
অন্যদিকে প্রতিনিয়ত জল্পনা-কল্পনার ডালা-পালা বিস্তার করছে আরও! এ যেন শেষ হবার নয়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলাই মুশকিল হয়ে গেছে। আদৌ সংলাপ-সমঝোতা হচ্ছে কি হচ্ছে না? না হলেও নির্বাচন হচ্ছে কিনা? নির্বাচন হলে কাদের নিয়ে হবে, কোন পদ্ধতিতে হবে? এ নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে আর স্থায়ীত্বের দৌড়ও কতদূর? সব কিছু এখন ধোঁয়াশায় ঘেরা। সর্বশেষ গঠিত সর্বদলীয় সরকার এ ধোঁয়াশাকে আরো ঘণিভূত করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে সরকার ও বিরোধীদল অনড় অবস্থানে রয়েছে দীর্ঘদিন। এ দীর্ঘ সময়ে হরতাল, সহিংসতায় অনেক ক্ষতি হয়েছে দেশের। নাজুক হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। সরকারী বাহিনী ও প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ গেছে অনেক মানুষের। বর্তমানে তা মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ থেকে পরিত্রাণ হচ্ছে কি আদৌ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন