অমৃতা এখন পতিতা


ইমরুল শাহেদ : পতিতারা সমাজের একটি অংশ হলেও তারা বিবেচিত হয় অচ্ছুৎ শ্রেণী হিসেবে। অন্যের লালসা চরিতার্থে নিজেদের বিলিয়ে দিলেও সমাজে তারা ঘৃণ্য। কিন্তু মানুষ হিসেবে তাদের মনের সুপ্ত বাসনাটিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার মতো নেই সামাজিকীকরণ নিয়ম নীতি। আশা-আকাংখায় তারা মানুষ, প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসায়ও তারা মানুষ। তবুও তারা যেন মানুষ নয়, মানুষেরই অপভ্রংশ মাত্র। মৃত্যুর পর তাদের দাফনের জন্য এই মহাবিশ্বে  বিন্দুমাত্র স্থান সংকুলান হয় না একটু মাটির। তাও সমাজের কারণেই। এমনি খুলনা বাগেরহাটের একটি সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে রিয়াজুর রহমান সবুজ’র পরিচালিত দেহ। এ ছবিটির মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন দুই ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ অমৃতা খান।
দেহ ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি খুব খুশি। অমৃতা খান বলেন, চরিত্রটির প্রাণপ্রতিষ্ঠায় তিনি অভিনয়ের শেষ নির্যাসটুকুও ঢেলে দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমার তিনটি ছবি তিন ধরনের। গেম ছবিতে আমি একরকম এবং অন্তরে অন্তরে ছবিতে আমি আরেক রকম। দেহ ছবির চরিত্রটি একেবারেই ভিন্ন রকম।’

উল্লেখ করার বিষয় হলো পতিতাদের নিয়ে এটাই প্রথম ছবি নয়। এর আগে মতিন রহমান নির্মাণ করেছেন চিৎকার নামে একটি ছবি। সে ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুচন্দা। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য শবমেহের ছবিটিও নির্মিত হয়েছে পতিতাদের জীবন নিয়ে। শুধু এ দুটিই নয়, মেহেরজানসহ আরও বেশ কিছু ছবিতে পতিতাদের খণ্ড জীবন স্থান পেয়েছে অনেক ছবিতেই। তবে দেহ ছবির বিষয়টি ব্যতিক্রমই। অমৃতা জানান, দেহ পতিতা জীবন নিয়ে নির্মিত হলেও এটি একটি রোমান্টিক অ্যাকশন ছবি। 

ছবিটি নিবেদন করছেন ইমদাদুল হক শিমূল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন