জেএসসি জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে আজ

 Update Time: 2011-12-27 21:33:14     
 ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮ : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে বুধবার।
এবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩৭ দিনের মধ্যে এ ফল প্রকাশ হচ্ছে।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকাল ৩টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফলের বিস্তারিত জানাবেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করবেন।
এবার জেএসসি-তে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪২২ জন এবং জেডিসি-তে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ জন।
এবারের পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮৫ জন বেশি ছাত্রী অংশ নেয়। ছাত্র সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৪ জন এবং ছাত্রী ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯ জন।
আটটি বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল বিকাল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd, সব পরীক্ষা কেন্দ্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর ই-মেইলে একযোগে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে জেএসসির ফল পেতে JSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন হরফ এবং এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
জেডিসির ফল পেতে JDC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন হরফ এবং এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ২৯ ডিসে¤¦র থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ সাল থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ১ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে দুই হাজার ৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা হয়।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও গণিত ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের মতো এবারো জেএসসি ও জেডিসিতে তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যরা নবম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে তাদের পরবর্তীতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অবশ্যই পাস করতে হবে।
এবার পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। দৃৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক কারণে যারা লিখতে পারে না, তাদের শ্র“তি লেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন