বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলায় ৭৫ গ্রাম প্লাবিত

চিংড়ি ঘের বসতবাড়ি ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি

জাফর আলম
গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের উপকূলবর্তী প্রায় ৭৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের ৩০টি, কুতুবদিয়া উপজেলার ৩০টি এবং টেকনাফে ১৫টি গ্রাম বৃষ্টি এবং জোয়োরের পানিতে প্লাবিত রয়েছে। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক একে নাজমুল হক বাংলানিউজকে জানান, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৭৩ মিলিমিটার। সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

একই সঙ্গে স্থলভাগে কালবৈশাখী ঝড়েরও পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ধারা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। 
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের উপকূলবর্তী ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বেড়ি বাঁধ সাগরে স¤পূর্ণ বিলীন হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টিতে প্লাবিত হচ্ছে পুরো এলাকা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন