ভবন ধসের কথা জিজ্ঞেস করেন না ক্রেতারা

ডেস্ক রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে গ্যাপের স্টোরগুলোতে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আনা পোশাকগুলো। ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর পোশাক বিক্রি করতে ব্যস্ত স্টোরের কর্মীরা। মাস খানেক আগে বাংলাদেশ নিুমানের একটি ভবন ধসে এক হাজার ১২৯ জন শ্রমিক মারা গেল-এটি কি ক্রেতাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটায় না? ‘না’ বলে উত্তর দিলেন এক বিক্রেতা।
ওই বিক্রেতা বলেন, “আসলে আমরা এ স¤পর্কে জিজ্ঞেস করি না।” ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক নিবন্ধে এমনই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের জন্য নিষ্ঠুর সত্য হলেও সুসংবাদও বটে। বাংলাদেশে গত মাসের বিয়োগাÍক ঘটনার পরে চুপসে গেছে বিশ্বের অধিকাংশ বড় বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। আপাতত এই মুহুর্তের জন্য তারা এমন আচরণ করছে। ক্রেতাদের আচরণ ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হবে তাতে বাজি ধরা লাভজনক হবে না। তারা (ক্রেতারা)বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা স¤পর্কে অবগত হতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে দুর্ঘটনায় দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিশ্লেষণ বা সাব-কন্ট্রাক্টর, সরবরাহকারী, মধ্যস্থতাকারী, ভবন পরিদর্শক, দুর্নীতিবাজ সরকার বা উদাসীন র্ব্যান্ডের ভুলে দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন সিদ্ধান্তও আশা করা যায় না।
১৯৯০-এর দশকে নাইককে সমালোচনা পড়তে হয়েছিল এশিয়ায় নিজস্ব সরবরাহকারীদের মাধ্যমে পরিচালিত কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কাজ করানোর বিষয়টি নিয়ে। নাইকের এরকম দুঃসময়েও ক্রেতারা পণ্য কেনা বন্ধ করেনি। নাইকের টেকসই ব্যবসা ও উদ্ভাবন বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হান্নাহ জোনস বলেন, “আমাদের অগাধ সুনামের ইস্যুটি (জড়িত ছিল)ছিল, কিন্তু আমরা ক্রেতাদের আচরণ পরিবর্তন হতে দেখিনি।” বাংলাদেশের ভবন ধসের পর একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ মার্কিনি জানিয়েছেন, তারা যে পোশাকটি কিনছে তা নিরাপদ পরিবেশে তৈরি কিনা-সেটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাফিংটনপোস্ট বা ইউগভ জরিপে দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ মার্কিনির কাছে কাজের পরিবেশের নিরাপত্তার বিষয়টি কোনো না কোনোভাবে গুরুত্বপূর্ণ, ১৬ শতাংশের কাছে গুরুত্বপুর্ণ নয়। আর ১২ শতাংশের কাছে একেবারেই গুরুত্বহীন। কিন্তু এর বিপরীতে পণ্যের দামের বিষয়টি সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন