সদর প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলী থেকে ২১ মে রাতে বন বিভাগ ও পুলিশের লোকজন ধাওয়া করে অবৈধ কাঠ ভর্তি চাঁন্দের গাড়ি আটক করেছে। ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা রামু’র ঈদগড় ইউনিয়নের হাসনা কাটা গ্রামের সোনা মিয়া।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, সরকারী বনাঞ্চলের কাঠ কেটে চাঁন্দের গাড়ি বোঝাই করে একদল সংঘবদ্ধ কাঠ চোরাকারবারী গত মঙ্গলবার রাতে রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়া সড়ক দিয়ে ঈদগাঁও’র দিকে পাচার করছিল। বন বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঈদগড় রেঞ্জ অফিসার হাফিজুর রহমান ও পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ফিরোজ গাড়িটি ধাওয়া করে উল্লেখিত স্থান থেকে কাঠসহ গাড়িটি আটক করলেও পাচারকারী কিংবা গাড়ির চালক, হেলপার কাউকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত শতাধিক ঘনফুট কাঠের মূল্য লক্ষাধিক হতে পারে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ। স্থানীয় লোকজনের অভিমত,ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ঈদগড় ও ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনায় পৃথক দু’টি বনবিট থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কাঠ চোরাকারবারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নিয়মিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ পাচারের অংশ হিসাবে ওই দিনও তাদের নাকের ডগা দিয়ে কাঠ পাচার হওয়ার সংবাদ গোপনে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে স্থানীয় বনবিভাগকে নির্দেশ দিলে তারা এ অভিযান চালায়। এলাকার সচেতন মহল অবশিষ্ট সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষা করতে উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন