মহেশখালী প্রতিনিধি
অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণের কারণে মহেশখালীর প্রধান
রুট গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের বিভিন্ন স্থানে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত ২মাস ধরে এ অবস্থা
বিরাজ করার কারনে সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সড়কের কালারমারছাড়া ইউনিয়নের
মাইজপাড়া এবং হোয়ানক ইউনিয়নের খোরশাপাড়া, কেরুনতলী, কালালিয়াকাটাসহ পানিরছড়ায় এসব ব্রীজ
নির্মাণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া ও আঁধারঘোনা নামক
স্থানে সড়কে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া হোয়ানক টাইমবাজারসহ আরও কয়েক স্থানে বৃষ্টির
পানি জমে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে এ সড়কে চলাচলকারী অন্তত ২ লাখ
মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাকাল অবস্থা। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণ কাজ শুরুর সময় বিকল্প
সড়ক নির্মাণ করা হলেও একটু বৃষ্টিতে নিমিষেই তলিয়ে যায় এ কাঁচা সড়ক। এ কারণে গত দুই
মাস ধরে যোগাযোগ প্রায় সময়ই সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকে। বাকী সময়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনো
রকম যোগাযোগ রক্ষা হয়। যাত্রীরা অভিযোগ করেন কয়েকটি গাড়ি পাল্টানোর পরও গুনতে হচ্ছে
দিগুণ ভাড়া। নানা অজুহাত দেখিয়ে পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা
গেছে, গত ৮ মাস আগে একযোগে এসব নির্মাণ কাজ
শুরু হয়। কিন্তু কার্যাদেশ অনুসারে নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি
অর্ধেক কাজও। অভিযোগ আছে, ঠিকাদাররা নানা অজুহাত দেখিয়ে ফের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য কাজ
ফেলে রেখেছে। এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল নাসের জানিয়েছেন,ঠিক সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না করায়
বর্ষার শুরু থেকে গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে অচলাবস্থা বিরাজ
করছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বারবার বলার পরও তারা কাজ শেষ করছে না। কিন্তু
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান বিষয়টি খোজ খবর
নিবেন।