‘তত্ত্বাবধায়ক’ ফেরাতে বিএনপির মুলতবি প্রস্তাব



ডেস্ক রিপোর্ট : 
নির্বাচন নিয়ে সংসদে প্রস্তাব তুলতে সরকারের আহ্বান নাকচ করলেও ‘তত্ত্বাবধায়ক’ ফিরিয়ে আনার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি। গত ২২ মে সংসদ সচিবালয়ে এই প্রস্তাব জমা দেন নোয়াখালী-১ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ২৪টি নোটিস জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।

কার্যপ্রণালী বিধির ৬২ বিধিতে দেয়া ওই নোটিসে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল করা হোক।

এ প্রসঙ্গে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, গত কিছু দিন ধরে আওয়ামী লীগ বলছে সংসদে এসে আলোচনা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। এ জন্য মুলতবি প্রস্তাব জমা দিয়েছি, যাতে আলোচনা করা যায়। বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির দাবি জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের নেতারা বলে আসছেন, কোনো প্রস্তাব থাকলে তা সংসদে দিতে হবে।

অবশ্য গত বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ সাফ জানিয়ে দেন, তারা কোনো প্রস্তাব সংসদে তুলবেন না।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে, যা সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট অধিবেশন। সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে হলে বিএনপির সাংসদের এই অধিবেশনে যোগ দিতে হবে। এরই মধ্যে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে তারা এ অধিবেশনে যোগ দেবে।

প্রধান দুই দলের কথা চালাচালির মধ্যেই রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিএনপি সাংসদদের পুরো সময় থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুর্নবহালে বেসরকারি বিল উত্থাপন কেন করা হয়নি- জানতে চাইলে খোকন বলেন, বিল উত্থাপন করলে সেটি সংখ্যগরিষ্ঠতার জোরে নাকচ হয়ে যাবে। তখন আওয়ামী লীগ বলবে সংসদ বিল নাকচ করেছে। এজন্য বিল উত্থাপন করছি না।

জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালি বিধির ৬২ বিধিতে মুলতবি প্রস্তাবের বিষয়ে বলা রয়েছে। জরুরি ও জনগুরুত্বপুর্ণ বিবেচনায় সংসদের যেকোনো সদস্য দিনের অন্য কাজ মুলতবি রেখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব রাখতে পারেন। তবে মুলতবি প্রস্তাব গ্রহণের এখতিয়ার স্পিকারের। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী এক্ষেত্রে সংসদ নেতার সম্মতিও গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনর্প্রবর্তনের পর প্রায় ১১ হাজার মুলতবি প্রস্তাবের মধ্যে গ্রহণ হয়েছে মাত্র চারটি। আর এর সবগুলোই পঞ্চম সংসদে।

সর্বশেষ ৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রফিকুল ইসলামের (যশোর-২) ‘গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র হামলায় ১ জন নিহত ও দু’শতাধিক আহত হওয়া’ প্রসংগে একটি মুলতবি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন