মহেশখালীতে পাহাড় কাটা থেমে নেই

মোহাম্মদ সিরাজুল হক সিরাজ
মহেশখালীতে বনবিভাগের সংরক্ষিত সামাজিক বনায়ন ও পাহাড় কাটাঁ থেমে নেই প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবেশবাদীদের যোগসাজেসে এসব কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাহাড় কাটঁতে গিয়ে ভূমিদস্যুরা  অবাধে সাবাড় করছে সরকারী সৃজিত সামাজিক বনায়ন।
গত ১০ বছরে মহেশখালীতে প্রায় ৫ হাজার একর বনভূমি দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। নির্বিচারে পাহাড় ও বনায়ন নিধন হওয়ায় উপকূলীয় দ্বীপ মহেশখালীর পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকি নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় আছে উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ। উপকূলীয় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রশীদ আহামদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটার কারণে উপকূলীয় দ্বীপ হিসেবে মহেশখালী জলবায়ু হুমকি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পতিত হচ্ছে। আমাদেরকে সামাজিক ও প্রশাসনিক ভাবে পাহাড় কাটা প্রতিরোধ করতে হবে।’ হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটা আমাদের সকলের জন্য হুমকি তাই ব্যক্তিগত ভাবে সচেতন হয়ে পাহাড় কাটা থামাতে হবে।’ এক শ্রেনীর ভূমিদস্যুরা দিন-রাত মাটি কেটে পানের বরজ তৈরির জন্য সমতল ভূমিতে পরিণত করছে। একই নিয়মে অন্যান্য পাহাড় গুলি কাটা অব্যাহত থাকলে এতদঞ্চল ধ্বংসের পথে এগিয়ে পাবে বিধায় প্রশাসনিক ভাবে এসব পাহাড় কাটা বন্ধ করার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দিনেজপুর বনবিটের আওতাধীন ১২ নং পাহাড় মৌজায় স্থানীয় ইউনুছখালী ও শাপলাপুরের ষাইটমারা, ছোট মহেশখালী মুদিরছড়া ও আহমদিয়া কাটাঁ এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটার এ নির্মম দৃশ্য চোখে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রভাবশালী মহল সরকারী সৃজিত ২০০৩-০৪ সালের সামাজিক বনায়ন ও পাহাড় কেটে পানের বরজ বানিয়েছে এবং বনাবিভাগের কর্মকর্তাকে প্রতিটি পান বরজের জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড় কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হোয়ানক, বড় মহেশখালী, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, ছোট মহেশখালীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে রাত-দিন নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা। পাহাড় কাটতে গিয়ে সরকারী সামাজিক বনায়নের সেগুন, গর্জন, শালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ সাবাড় করছে ভূমিদস্যুরা। ভূমিদস্যুরা এসব সুউচ্চ পাহাড় কেটে পানের বরজ, তরি-তরকারী খেত ও বাড়ি তৈরি করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল নাছের জানান, পাহাড় কাটার খবর শুনেছি তবে কারা কাটঁতেছে নির্দ্দিষ্ট করে তালিকা পায়নি পেলে তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন