টেকনাফে স্কুল ছাত্রীর লাশ দাফনের ১০দিন পর কবর থেকে উত্তোলন

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী
টেকনাফে হ্নীলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেমিক কর্তৃক অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিমানে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালায়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহত ছাত্রীর মায়ের থানায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক বরাবরে লাশ উত্তোলনের আবেদন করে। অবশেষে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উক্ত ছাত্রীর ধর্ষণ আলামত পরীক্ষার জন্য দাফনের ১০দিনের মাথায় লাশ উত্তোলন করা হল। 

২৮মে সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উত্তর ফুলের ডেইল এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ও হ্নীলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তসলিমা আক্তার নুনু (১৩) কে প্রেমিক কর্তৃক অপহরণ ও ধর্ষণের পর তাড়িয়ে দেওয়ায় অভিমানে আতœহত্যার ঘটনায় থানায় মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিনা কাজীর নেতৃত্বে এস আই আনোয়ারসহ একদল পুলিশ দরগাহ গোরস্থান হতে ওই ছাত্রীর লাশ উত্তোলন করেন। এ সময় অসংখ্য লোকজনের সমাগম হয়। উল্লেখ্য গত ১৯মে সকাল ৯টায় নামাজে জানাজা শেষে ঐ ছাত্রীকে উক্ত গোরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য বিষপানে নিহত ছাত্রীর স্বজনেরা জানায়-নিহত স্কুল ছাত্রী তসলিমা এবং হ্নীলা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও হ্নীলা হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য-এনামূল হকের ২মেয়ে পাপিয়া মোস্তফা পপি,তামরীন আকতার রুবি ক্লাসমেট হওয়ায় বাড়িতে আসা-যাওয়া হয়। এই সুযোগে উক্ত ক্লাস মেটদের ভার্সিটি পড়–য়া ভাই ইমরান তসলিমা আক্তার নুনুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরই সূত্রধরে গত ১১মে হ্নীলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী  তসলিমা আক্তার(১৩) স্কুলে প্রাইভেট পড়তে গেলে হ্নীলা মৌলভী বাজারস্থ রোজারঘোনা এলাকার বাসিন্দা এনামুল হকের পুত্র ইমরানুল হক ৩বন্ধুর সহায়তায় সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে ২ দিন নিজের কাছে রেখে নির্যাতন পূর্বক বিকালে বাড়ীর কাছে দিয়ে চলে যায়। ঐ মেয়ের মা বাড়িতে না ফেরার কারণ জানতে চাইলে দোদুল্যমান অবস্থায় আসা মেয়ে তাকে অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। এক পর্যায়ে ছটফট করলে স্বজনরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেফার করে।  গত ১৭মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চমেকের মেডিসিন বিভাগের ১৬নং ওয়ার্ডে ২৫নং কেবিনে তার মৃত্যু হয়। ঐ ছাত্রীকে দাফনের দিনই টেকনাফ থানায় মা সুফিয়া খাতুন (৪৬) একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে দাফনের ১০দিনের মাথায় উক্ত ছাত্রীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন