বর্ষার পূর্বেই বর্ষা ।। ঈদগাঁওতে ডিসি সড়ক চলাচলের অযোগ্য ঃ মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ


মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আযাদ
জেলার বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত বৃহত্তর ঈদগাও’র ৬ ইউনিয়নের একমাত্র বৃহত্তম হাট বাজার ঈদগাঁও। দক্ষিণ চট্টগ্রামের এ বৃহৎ বাজারে দৈনিক ২০ সহস্রাধিক লোকজনের একমাত্র বাজারে ডিসি সড়কটি বিভিন্ন অংশের বেশি ভাগ সড়ক একে বারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর ঈদগাও’র অভ্যন্তরীন সড়কের অবস্থা এতই খারাপ যে, রোগী সহ বৃদ্ধ লোকজন রিক্সা বা অন্য কোন পরিবহন নিয়ে আনা নেয়া করলে নানা রোগ বেড়ে যায়। সম্প্রতি ঈদগাঁও বাসষ্টেশন হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পূর্বস্থান পর্যন্ত সাময়িক কাজ করলেও তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সামনের সড়কের একাংশ খাল বা নদীতে পরিণত। অপর দিকে বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বের এলাকাটি খানা খন্দকে পরিণত। তাছাড়া ঈদগাঁও-জালালাবাদ তেলী পাড়া সড়ক, আলমাছিয়া সড়ক, ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী সড়ক, ঈদগাঁও-ভোমরিয়াঘোনা সড়ক, ভাদিতলা সড়ক, পূর্ব শিয়া পাড়া সড়ক সহ গ্রাম্য এলাকার অধিকাংশ উপ-সড়ক খানা খন্দকে ভরপুর চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক দিয়ে চলাচলের মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া বর্ষার পূর্বেই অনবরত বৃষ্টি যেন বর্ষাকেও হার মানায়। নির্বাচন আসলেই চেয়ারম্যান কিংবা জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হওয়ার রাস্তাঘাতের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা মুখে বললেও তা সময়ের ব্যবধানে ভূলে যায়। আবার ঈদগাঁও নদীর দু’পারেই স্থায়ী বেরী বাঁধের দাবী দীর্ঘ ১ যুগের। কিন্তু বর্ষা শুরু হতেই না হতেই প্রতি বছর পাল পালার গোটা এলাকাটি ভেঙ্গে গিয়ে নদীতে পরিণত হয়। স্থায়ী ভাবে মেরামত না করেই নামে মাত্র বার বার মেরামত করে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করলেও এলাকার সচেতন মানুষের ধারণা চলতি সনের বর্ষার শুরুতেই আবারো ভাঙ্গনকৃত ওই জায়গাটি পাহাড়ী ঢলের পানির সাথে আবারো থলিয়ে যেতে পারে। ফলে গত বারের ন্যায় বিশাল জায়গা চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বর্ষার পূর্বেই ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়ক সহ অভ্যন্তরীন সড়ক গুলি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত, ঈদগাঁও নদীর স্থায়ী বেরী বাধ ও পাল পাড়ার ভাঙ্গন কবলিত জায়গাটি পরিপূর্ণভাবে মেরামত করা এলাকার গণ মানুষের দাবী হিসেবে পরিণত হয়েছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন