টেকনাফ স্থল বন্দর একটি অপার এক সম্ভাবনাময় স্থল বন্দরঃ এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা সচল করবে

মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী
বাংলাদেশে ১৪টি স্থল বন্দরের মধ্যে টেকনাফ স্থল বন্দরটি আপার এক সম্ভাবনাময় স্থল বন্দর। এটি ১৯৯৫ সালে ৫ সেপ্টম্বর বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পর্যায়ে চালু হয়। উদ্দেশ্য দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে চোরাচালান নিরোধ এবং অর্থনৈতিক চাকা সচল করা।
টেকনাফ পৌর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে টেকনাফ কক্সবাজার প্রধান সড়কের সাথে লাগোয়া অত্যন্ত মনোরম কেরোনতলী নামক স্থানে প্রায় ২৩ একর জমির উপর স্থল বন্দরের অবস্থান। এর পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ইউনাইটেয ল্যান্ড পোর্ট নামে স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্টান। এর স্থাপনকাল প্রায় ১৯ বছর। হাটি হাটি পা পা করে শত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আজ পূর্ণাঙ্গ টেকনাফ স্থল বন্দরে পরিনত হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক নব নব অবকাটামো নির্মিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এখানকার যে ক’টি অবকাটামু নির্মিত হয়েছে তার মধ্যে অফিসভবন মসজিদ আবাশিক ভবন ও এমেগ্রেশান অফিস চোখে পড়ার মত। জালিয়ারদ্বীপের পশ্চিমে এবং পাহাড় ও প্রধান সড়কের পাশ্বে টেকনাফ স্থল বন্দরটি ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে অর্থনৈতিক দুয়ার খুলবে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, অর্থনীতিবিধরা। সীমান্ত বাণিজ্য কার্যাক্রম চালু হবার পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অরিরিক্ত রাজস্ব পাওয়া যেত। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজস্ব আয় নেমে আছে চরমভাবে ধস। অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যবসায়ীদের মধ্যে কতিপয় ক্ষমতাসীনদলের ব্যবসায়ীর রাতারাতী অর্থের মালিক বনে যাবার উদ্দেশ্যে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। ফলে টেকনাফ স্থল বন্দরে টেকনাফ স্থল বন্দরে রাজস্ব আয়ে নেমে আসে ধস ও স্থবিরতা। এ তথ্য অবশ্যয় সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীদের। সূত্রে জানা যায় টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট কর্তৃক পরিচালিত এবং এরা বাংলাদেশী নাগরিক এবং ব্যবসায়ী সেজে সীমান্ত বানিজ্যের আড়ালে চোরাচালানের সাথে জড়িত। এদের মূল ব্যবসা হচ্ছে, ইয়াবা, মাদক। টেকনাফ স্থল বন্দরে যে সমস্ত রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশী নাগরিক সেজে ব্যবসা করছে তাদের পূর্ব পুরুষ মিয়ানমারের নাগরিক। ওরা এখানে রাজনৈতিক দলের নেতার আশ্রয় ও পশ্রয়ে লালিত পালিত হয়ে আসছে। যে দল ক্ষমতায় আসে ওরা সে দলে চলে যায়, উদ্দেশ্য চোরাচালান ব্যবসা করে বিত্তবান বনে যাওয়া। টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ইতিপূর্বে ইয়াবার চালান বিজিবি কর্তৃক আটক হয়েছিল। যাহা সীমান্ত এলাকার তুলপাড় দেখা দেয়। ইয়াবা গড়ফাদারেরা সীমান্ত বানিজ্যের পণ্যের আড়ালে ইয়াবা বড় ধরনের চালান আসছে, মর্মে গোজব ছড়িয়ে পড়েছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ মিয়ানমার দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে একটি শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট মরন নেশা ইয়াবা পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ স্থল বন্দরকে ব্যবহার করে আসছে। এসব ইয়াবা আমদানি পণ্যের আড়ালে কৌশলে চলে আসছে। এসব গোপন তথ্য বৈধ ব্যবসায়ীরা জানার পর তারা টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসা বানিজ্যের হাত গুটিয়ে ফেলেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আমদানি কারক জানায় টেকনাফ স্থল বন্দরটি ইয়াবা হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। কতিপয় প্রভাবশালীদেল হাতে এ বন্দরটি জিম্মি হয়ে আছে। তারা অপেক্ষা করছে পরবর্তী সরকারের জন্য। ব্যবসায়ীরা জানান, দুদেশের সীমান্ত বানিজ্য এলসি মাধ্যমে চালু হলে সীমান্ত বানিজ্য কার্যক্রম আরো প্রসাবিত হবে। বর্তমানে যে নিয়মে সীমান্ত বাণিজ্য কার্যক্রম চলছে এতে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বেশী লাভবান হচ্ছে এবং যে, সব ব্যবসায়ী দুর্বল ও সৎ ব্যবসায়ী তাদেরকে মোটেই স্থান পাচ্ছেনা। ফলে ঐসব ব্যবসায়ীরা সীমান্ত বানিজ্যের নামে চোরাচালান ও কর ফাকিতে লিপ্ত থাকেন। সীমান্ত বানিজ্য কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতার মধ্যে চালু থাকলে, ভবিষ্যতে দুদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সচল থাকবে এবং সীমান্ত এলাকার মানুষ চোরাচালান নামে চরম অভিশাপ থেকে রেহায় পাবে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল। টেকনাফ স্থল বন্দর প্রতিষ্ঠালগ্ম থেকে আজ ১৯ বছর পর্যন্ত ইউনাইটেড ল্যান্ড পৌট কেরুনতলী স্থল বন্দরের চেহারা পাল্টিয়ে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের সার্থে বিভিন্ন আধুনিক অবকাঠানো,জেটি,বাউল্ডারী, শ্যাড, রাস্তা, নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকাশিত হয়েছেন । বিশেষ করে স্থল বন্দর পরিচালনাকারী জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অবসর) মাকছুদুর রহমান স্থল বন্দরে যোগদান করার পর সব কিছু নিয়মের মধ্যে চলে এসেছে এবং বন্দরটি শ্রীবর্ধন পেয়েছে। স্থল বন্দরে যে কেউ প্রবেশ করলে তার চোখের মধ্যে ভেসে উঠে পরিস্কার পরিছন্নতা, বিশেষ করে ডিজি এম সাহেবের আচার আচরন সবাইকে মুগ্ধ করেছে। টেকনাফ স্থল বন্দরের জেনারে ম্যানেজার মেজর (অবসর) মাকছুদুর রহমান প্রতিবেদককে জানান বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্ত টেকনাফ স্থল বন্দর একটি সাবনাময় একটি বন্দর। অর্থনৈতিকভাবে সুফল পাবে এবং সীমান্তের জনগণ, চোরাচালান থেকে মূখ ফিরিয়ে দিয়েছে ব্যবসার দিকে ধাবিত হবে এবং সীমান্ত এলাকা সমৃবদ্ধশালী হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন