মহেশখালীর কুতুবজুমের ইসলাম মেম্বারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির পাহাড়

সৈয়দ মোস্তফা আলী
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ইসলাম মাঝি বিরুদ্ধে দূর্নীতির পাহাড় গড়ার মত অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বিগত নির্বাচনে কালো টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম , দূর্নীতি স্বজনপ্রীতি সহ সর্বশেষ একশ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে হরিলুট করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার সরজমিনে পরির্দশন কালে দেখা যায়, কুতুবজুমের তার এলাকা মেহেরীয়া পাড়ার একশ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুর করেন তিনি। সাপ্তাহে ৫দিনের মধ্যে ২দিন কাজ করে বাকী দিনের টাকা কাজ না করে ভূয়া শ্রমীকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছে বিগত ২ মাস ধরে। এই প্রকল্পে তার পুত্র কলেজ ছাত্র  সাকের উল্লাহর নামও অন্তভুক্ত করা হয়েছে।   স্থানীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ফজল করিম জানান, আমি দীর্ঘদিন স্থানীয় মেম্বার ইসলাম মাঝির কাছ থেকে সরকার ঘোষিত হত দরিদ্রের জন্য বরাদ্ধ পাওয়া একশ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করার জন্য একটি কার্ড চাইলে তিনি আমাকে দেড় হ্জাার টাকার বিনিময়ে দেওয়ার কথা বলেন । আমি অসহায় দরিদ্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে এই কার্ড টাকা দিয়ে নেওয়া সম্বব হয়নি। এদিকে তার অপকর্মে সাথে স্থানীয় আরেক সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারে যোগসাজোস রয়েছে। যার ফলে সরকারের ভি জি ডি ও ভিজিএফ কার্ড বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে স্থানীয়দের মাঝে কার্ড বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ওই মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে। ফলে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের জনগণ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ওই জনপ্রতিনিধির দূর্নীতির কারনে। জানা গেছে, একশ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের নামে শ্রমীকদের দিয়ে  বাড়ির উঠান ও সিমানার দেওয়াল নির্মান করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। স্থানীয় সিরাজ মিয়া বলেন, ইসলাম মেম্বার সরকারী রাস্তার উপর অপরিকল্পি ভাবে জনগণের চলাচলের এক মাত্র রাস্তার উপর ভাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে বর্তমানে ওই কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে স্থ্নাীয়রা জানান ওই ওয়াল তৈরী করতে গেলে স্থানীয়দের সাথে ওই মেম্বারে রক্ষক্ষয়ি সংর্ঘষের আশংকা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জানা গেছে , বিগত ৫ বছর আগে তিনি ছিলেন একজন ফিশিং ট্রলারের মাঝি, নির্বাচন করার এক বছর আগে তিনি রাতারাতি কোটিপতি বনে যায়, অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি মহেশখালী থেকে সাগর পথে নিরহ ব্যক্তিদের মোটা অংকের বিনিময়ে মালয়েশিযার পাচারকারীদের মুল হোতাদের সাথে তার সক্ষতা রয়েছে বলে অভিযোগ। একটি বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে ,সম্প্রতি সময়ে বঙ্গোপসাগরে আলোচিত ৩২ জেলে হত্যাকান্ড কান্ডের সময় লুণ্টিত জালের একটি বিশাল চালাল  তার ট্রলারে করে লুট করে আনা ওই জাল বর্তমানে তার  নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক জেলেরা জানান। এব্যাপারে অভিযুক্ত ওই ইসলাম মেম্বারের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একশ দিনের কাজে ক্নো ধরনের অনিয়ম হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন