একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি বলছেন খালেদা

বাংলানিউজ: স্থানীয় একটিও নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় জামায়াত আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আর ভবিষতেও কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।”

তিনি বলেন, “নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ আওয়ামী লীগকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।”

দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “আপনারা জানেন দেশের কী অবস্থা! সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তাই, তারা সরকারের পরিবর্তন চায়। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো জনগণের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করা, এই জালিম সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা।” 

তিনি বলেন, “আন্দোলনরত কোটাবিরোধী ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের গুণ্ডাবাহিনী কী হামলা চালিয়েছে, আপনারা তা দেখেছেন। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” 

তিনি বলেন, “আমাদের দাবি পরিষ্কার। আমরা চাই, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাদের অধীনে তা সম্ভব নয়। তাদের অধীনে যত নির্বাচন হয়েছে, একটাও নিরপেক্ষ হয়নি। ইসি ও পুলিশ বাহিনী নিরপেক্ষ কাজ করতে পারেনি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।” 

ইফতার মাহফিলে জামায়াতের নায়েবে আমির একেএম নাজির আহমেদ বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে সরকার প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিচার প্রশ্নবিদ্ধ, কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।”

তিনি বলেন, “হেফাজতের সমাবেশে হামলা চালিয়ে সরকার গণহত্যা চালিয়েছে। জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতেই বিচারের নামে নাটক করা হচ্ছে।”

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সহসভাপতি মীর মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদিন ফারুক প্রমুখ।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, আবদুল হালিম, ডা. রেদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, শাহজাহান চৌধুরী, আনম শামসুল ইসলাম, এমপি, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মতিউর রহমান আকন্দ, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, শিবিরের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

হেফাজতের ইসলামের নায়েবে আমির শাহ আহমদ উল্লাহ আশরাফ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জাফরুলাহ খান, ঢাকা মহানগরীর নেতা মুফতি ফখরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

১৮ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ জনি, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ (ভাসানী) সভাপতি জেবেল আর গানি, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, এনপিপির সাধারণ সম্পাদক ড. ফরিদুজ্জামান ফরাদ, ন্যাপ (ভাসানী) সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা।