প্রতি বছর বর্ষায় লাখ লাখ টাকা লোকসান হলেও ঈদগড়ে বেঁড়িবাধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ

ইব্রাহীম খলিল
কক্সবাজার রামু উপজেলার ঈদগড় বৌঘাট,বড়ইচর,বড়বিল চরপাড়া,মোহাম্মদ শরিফ পাড়া, পূর্ব রাজঘাটা , চরপাড়া, হাসনাকাটা, ক্যাম্পেরচর, কোনাপাড়া, রেনুরকুল,জালালেরজুম, ঠুটারবিল সহ বিভিন্ন এলাকায় বেঁড়িবাধ না থাকায় বর্তমানে ৫হাজার পরিবার চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছে।
দূর্যোগকালীন সময়ে এবং বর্ষার প্রবল বৃষ্টি পানি বৃদ্ধি পেলে তলিয়ে যায় হাজারো মানুষের এই বসতীস্থল। বসবাসের অযোগ্য উঠে। ফলে তাদের আশ্রয় নিতে হয় খোলা আকাশের নিচে। ঈদগড় খাল এবং রেনুর ছড়া খালের তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে নেই কোন সাইক্লোন শেল্টার। ফলে এলাকাবাসীর ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়। উল্লেখিত এলাকাগুলো পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী জানান,প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী, ধান চাল সহ বিভিন্ন আসবাব পত্র পানিতে তলিয়ে যায় শুধু বেঁড়ি বাঁধ না থাকার কারণে। এমনকি অনেক কাঁচা ঘরবাড়িও ভেঙ্গে যায়। ফলে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা লোকসান দিতে হয় এলাকাবাসীকে। অনেকেই ঘরবাড়ী হারিয়ে পথের ভিখারী হয়েছেন। প্রতিবছর এলাকাবাসীর লাখ লাখ টাকা লোকসান হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আধৌ কোন বেড়িবাঁধ নির্মানের উদ্যেগ নেয়নি বলে জানা যায়। বর্তমানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় নানা দুচিন্তায় রয়েছে এলাকা গুলোর হাজার হাজার জনগণ। এই ব্যাপারে রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল জানান, উক্ত এলাকাগুলোতে বেড়ি বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চলছে। তাই বর্তমানে এলাকাবাসী উক্ত এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন