চার সিটিতে বিএনপির পক্ষে গণরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে গণরায় দিয়েছে ভোটাররা। সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপিসহ ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীরা।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ধারাবাহিকতায় এবারের ৪ সিটি নির্বাচনেও বিএনপি জয় লাভ করে।
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চার সিটিতে গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে এ নির্বাচনকে এসিড টেস্ট হিসেবে নেয় দেশের বড় দুই দল ও জোট। 
রাজনীতির মাঠে এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮ দল জোট সমর্থিত বিএনপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়লাভ। চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন চারটি মহানগরের জন্য যতোটা গুরুত্বপূর্ণ দেশের জাতীয় রাজনীতির জন্য তার চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 
সরকার বারবার বলেছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে। সে জন্যই স্থানীয়পর্যায়ে সরকারি বাহিনীর আস্ফালন দেখা যায়নি। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির জন্য কেউ  নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে এর সাফল্য হয়েছে সরকার ও বিরোধী দলের কৌশলগত অবস্থান ও ভূমিকার জন্য।
বিচ্ছিন্ন কিছু গোলযোগ ছাড়া সামগ্রিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য চার সিটির নির্বাচনি এলাকায় গতকাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। 
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১২৮টিকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫ কেন্দ্রের ফলাফলে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৯৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট সমর্থিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ৫০৪ ভোট। 
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ১৩৭ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টিকেন্দ্রের ফলাফলে ১৮ দল সমর্থিত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০,৬০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দল সমর্থিত সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১,২৫২ ভোট। 
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ২৮৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৬২টিকেন্দ্রের ফলাফলে ১৮ দল সমর্থিত বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩,৪৭৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট সমর্থিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭,৫৫৮ ভোট।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বসিক) নির্বাচনে ১০০ কেন্দ্রের মধ্যে ৫০ কেন্দ্রের ফলাফলে ১৮ দল সমর্থিত বিএনপি প্রার্থী মো. আহসান হাবিব কামাল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন  ৩৮,৪৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দল সমর্থিত সদ্য সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২,৫৩০ ভোট।

# সিলেট থেকে লতিফ নুতন, আশরাফ চৌধুরী রাজু ও মঞ্জুর হোসেন খান জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৫ জন। 
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। দুটি তুচ্ছ ঘটনা ছাড়া কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দেন। সকাল থেকেই ছিল নগরীতে উৎসবের আমেজ। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ভোটাররা। ভোটারদের মধ্যে ছিল সর্বত্র আমেজ। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর খাসবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও দপুর ২টায় সিলেট সরকারি পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনা ঘটে। তা মুহূর্তের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টিতে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত নগর বিএনপি সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী ৩৫ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ২২ হাজার ৯৭৭ ভোট পান।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সকাল ৯টায় সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এ সময় তার স্ত্রী আসমা কামরান, ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধূ সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমাদের অর্থনীতিকে তার বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮টায় রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এ সময় তার পতœী শ্যামা হক সঙ্গে ছিলেন। আরিফুল হক চৌধুরী ভোট দিয়ে নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আমাদের অর্থনীতিকে। 
২৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সিলেট সিটি কপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১ ৮১, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৫। ১২৮টি ভোটকেন্দেএর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছিল ৮৮টি। কেন্দ্রসমূহে বুথ ছিল ৮৯৬টি। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত হন ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জুবের খান।  

# এমপি শফিক চৌধুরীর কেন্দ্রে কামরানের ভরাডুবি : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপির নির্বাচনি কেন্দ্রে আ.লীগ প্রার্থী কামরানের ভরাডুবি হয়েছে। নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের চান্দু শাহ মাদ্রাসাকেন্দ্রে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯৪০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্ব^ী আ.লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৪৭৯ ভোট। কেন্দ্রটি শফিক চৌধুরী এমপির বাসা থেকে মাত্র ২০ গজ দূরে। তিনি সারাদিন নিজ বাসায় থেকে নির্বাচন মনিটরিং করেন। চান্দু শাহ মাদ্রাসাকেন্দ্রে প্রতিবার জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে আ.লীগ জয়ী হয়। এবারের ভরাডুবির জন্য ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

# রাজশাহী থেকে মুহিব্বুল আরেফিন জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৫, নারী ভোটার ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২২ জন। 
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় নগরীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে সকাল ৮টায় ১৩৭টিকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ৮নং ওয়ার্ডের ৩টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। 
উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা সংরক্ষিত ১০ এবং সাধারণ ৩০। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৫ এবং নারী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২২ জন। 
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৬৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১৫৫ জন। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গত ২৯ এপ্রিল বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। 

# খুলনা থেকে শরীফা খাতুন শিউলী জানান, কেসিসির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫০৪ এবং নারী ২ লাখ ১৬ হাজার ৬২ জন। 
গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। গড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে ইসি। 
এদিকে কেসিসির ৮নং ওয়ার্ডের ইসলামী আন্দোলনের কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী মো. আলম সরদার (৪০) নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে ক্রিসেন্ট জুট মিল এলাকায় সংঘর্ষে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১০টায় কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুল আলমের সমর্থনে ৫০-৬০ কর্মী মিলের রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় মিছিল করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে আহত হন মো. আলম সরদার। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান। এদিকে লাশ ক্রিসেন্ট মিলে আনার পর হাজার হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করে। ভোটগ্রহণে সাময়িক বাধা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। নিহত মিলের ফিনিসিং বিভাগের শ্রমিক।
এদিকে সকালে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন আ.লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি। সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে নগরীর পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেন তালুকদার খালেক। একই সময় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসাকেন্দ্রে ভোট দেন মনিরুজ্জামান মনি।

# বরিশাল থেকে হাসিবুল ইসলাম জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশন (বসিক) নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন  ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি নেতা মো. আহসান হাবিব কামাল। মোট ১০০টি কেন্দ্রের মধ্যে সর্বশেষ প্রাপ্ত ১৩টি কেন্দ্রে আনারস প্রতীক নিয়ে তার প্রাপ্ত ভোট ১০,৫৫২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট সমর্থিত আ.লীগ নেতা মো. শওকত হোসেন হিরন টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭,৫০০ ভোট। ফলে, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আহসান হাবিব কামাল ৩,০৫২ ভোটে এগিয়ে আছেন। 
বসিকের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ ও নারী ১ লাখ ৩ হাজার ৬৩২ জন। রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন। 
প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা হলেনÑ আ.লীগ সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী মো. শওকত হোসেন হিরন (প্রতীক টেলিভিশন), জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের ব্যানারে ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী মো. আহসান হাবিব কামাল (প্রতীক আনারস) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুল হক খান মামুন (প্রতীক দোয়াত-কলম)।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৪৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১১৬ জন। শনিবার (১৫ জুন-২০১৩) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। এদিন নির্বাচনি এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন