নুরুল আমিন হেলালীঃ সদরের ঈদগাঁও ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ রশিদকে হত্যার পরিকল্পনা অবশেষে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ব্যার্থ হয়েছে হত্যা প্রচেষ্টা। টাকার বিনিময়ে এক প্রভাবশালীর কিলিং মিশনের পরিকল্পিত প্রচেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়েছে
ঈদগাঁও দক্ষিণ মাইজপাড়ার সচেতন মানুষ ও ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ প্রশাসন। এলাকাবাসীর সহায়তায় ব্যার্থ হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া ৪ যুবককে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উৎপেতে থাকা অবস্থায় গত মধ্য রাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন মামুনুর রশিদ, পিতা- মমতাজ আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, পিতা- মৃত রশিদ আহমদ, আব্দুল মালেক রিপন, পিতা- আলী আহমদ, ওয়াহেদ, পিতা- মৃত ওবাইদুল হক। আটকৃতরা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে অকপটে উৎসুখ জনতার সামনে স্বীকার করেন মেম্বার মোঃ রশিদকে হত্যার পরিকল্পনা নীল নক্শা। তারা জানায় দক্ষিণ মাইজপাড়ার হাজী নুর আহমদ এর পুত্র আলী আকবর এর পরিকল্পনায় টাকার বিনিময়ে তারা মেম্বারকে হত্যা করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই জন্য তারা চৌফলদন্ডী ফকির পাড়া মসজিদে শপথ করতে গিয়েছিল হত্যা করার পর যেন কেউ এঘটনা ফাঁস না করে। তারা আরও জানায় এজন্য তাদেরকে আলী আকবর বিভিন্ন সময়ে প্রায় এক হাজার টাকা দিয়েছিল। মেম্বারের ছোট ভাই জানান, গত ১০ জুন যখন বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারেন বড় ভাই মোঃ রশিদ কে হত্যা করা হবে ৩ দিনের মধ্যে তখন তারা প্রশাসনকে জানান এবং এলাকায় পাহারা বসিয়ে বিভিন্ন স্পট থেকে আগে থেকে উৎপেতে থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটকৃতদের অভিবাবকদের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে আটক কৃতদের স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি ও ঐ পরিকল্পনা কারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ স্বাপেক্ষে অভিবাবকদের জীম্মায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মেম্বার মোহাম্মদ রশীদ জানান, আটককৃতরা আমার এলাকার তারা না বুঝে এক প্রভাবশালীর ফাঁদে পা দিয়ে টাকার লোভে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমি বেচে যাওয়ায় তাদের ভুল স্বীকার করার কারনে পিতার মাতার অনুরোধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছি। এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানান, আজ মেম্বারকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করেছে। অন্যদিন আমাদের ও করতে পারে। তাই ইন্দন দাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় তুলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত কেন্দ্রের এস আই হাসান জানান, মেম্বারের অভিযোগের ভিত্তিতে গভীর রাতে দ: মাইজপাড়া থেকে এলাকার মানুষের সহায়তায় আসামীদের আটক করা হয়েছিল। পরে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের সম্মতি তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মেম্বারের ছোট ভাই নুরুল আবছার জানান, শুধু মাত্র নুর আহম্মদ গং নয় এর সাথে আরও প্রভাবশালী মহল অনেকেই জড়িত থাকতে পারেন। পরিকল্পনাকারী কে আটক করে আইনের আওতায় আনলেই অজানা অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী আলী আকবর ৪ দিন আগে বিদেশ চলে যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।