মিয়ানমারে মুসলিম-বৌদ্ধ সংঘাতে উস্কানিদাতা ভারত

মিয়ানমারের সংখ্যালুগু মুসলিম
ডেস্ক রিপোর্টঃ মিয়ানমারে মুসলিম-বৌদ্ধ সংঘাতে উস্কানি দিচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ভারতের বুদ্ধগয়া শহরের বুদ্ধ মন্দিরে বোমাহামলার পর মুসলিম-বৌদ্ধ সংঘাতে উস্কানি দেওয়ার কারণে দেশের ভেতরেই সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত সরকার।
যদিও ভারতের ইসলামী চরমপন্থী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উস্কে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের সমালোচনা করে আসছে । উল্লেখ্য, মিয়ানমারে মুসলিম-বৌদ্ধ সংঘাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান শরনার্থীতে পরিণত হয়। তাদের অনেকেই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-ে জড়িয়ে পরে।
ভারতের ইন্ধনে সৃষ্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এইবার স্বয়ং ভারতেই এর প্রভাব পরতে শুরু করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই বলছে, ভারতের বুদ্ধগয়ায় বোমাহামলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যু শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো মিয়ানমারে দারুণভাবে সক্রিয়। রোহিঙ্গারা পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া,বাংলাদেশের ইসলামভিত্তিক জঙ্গী সংগঠনগুলোরও রোহিঙ্গাদের সাথে সম্পর্ক রাখার অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ক্রমশ সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মিয়ানমারে মুসলিম-বৌদ্ধ সংঘাত। মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রায়শ মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণ করে। এমনকি, মুসলিম রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়ও অস্বীকার করার চেষ্টা করছে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার সরকার। শান্তির জন্য নোবেল জয়ী অং সান সুচিও মায়ানমারের মুসলমানদের ওপর এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলেন না।


সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন মুসলমানদের ওপর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নানান নিপীড়নের কথা তুলে ধরা হয়। এরপর টাইম ম্যাগাজিনটি নিষিদ্ধ করে দেয় মায়ানমার সারকার।


ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়া শহরে মহাবোধি মন্দির কমপ্লেক্সে গত ৭ জুলাই সকালে পর পর নয়টি বিস্ফোরণ হয়। এতে মিয়ানমারের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীসহ দুই পর্যটক আহত হন। ওই বিস্ফোরণটি সন্ত্রাসী হামলা বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী। বিহার রাজ্য পুলিশের ধারণা, ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ নামের সন্ত্রাসী সংগঠন ওই হামলায় জড়িত থাকতে পারে।কারণ,ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন অনেক আগে থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বৌদ্ধদের নির্যাতনে ভারত সরকারের অব্যাহত উস্কানির বিরোধিতা করে আসছে ।