কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের নতুন মাত্রা কুমির চাষ

 
কক্সবাজার: কক্সবাজারের গুনদুম এলাকায় বানিজ্যিকভাবে চলছে নোনা পানির কুমির চাষ। এ কুমির রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ যেমন আছে তেমনি কুমির খামার কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
৩ বছর আগে ২৫ একর জমিতে ৫০ টি কুমির নিয়ে শুরু এ প্রকল্প। মার্চে প্রথম এখানে ডিম ছাড়ে ১৯টি মা কুমির। এসব কুমির বছরে ডিম দেয় ৩০ থেকে ৫০টি, যা থেকে বেরিয়ে আসে পোনা কুমির।
প্রকল্পের ১৪ টি পুকুর ও জলাশয়ে চলছে কুমিরের পরিচর্যা। আড়াই বছর পর ৫ থেকে ৬ ফুট বড় হলে এসব কুমির ছানা রপ্তানি করে প্রতিটিতে ১ লাখ থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় করা যায়।
প্রকল্পটিকে ঘিরে গুনদুমের পাহাড়ী জনপদ এখন মুখরিত পর্যটকদের আনাগোনায়। শুধু রপ্তানি আয় নয়, প্রকল্পটি এ প্রজাতির কুমিরকে বিলুপ্তির হাত থেকেও রক্ষা করবে বলে মনে করছেন প্রকল্প কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
কুমির চাষ দিয়ে পাহাড়ী এই জনপদে জীববৈচিত্র সংরক্ষনের পাশাপাশি পর্যটনসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।