টেকনাফের ভূমি অফিসটি অনিয়ম ও দুর্নীতির এক আখড়ায় পরিনত

টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফের ভূমি অফিসটি অনিয়ম ও দুর্নীতির এক আখড়ায় পরিনত হয়েছে। মহাজাট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে শেষ সময়ে পর্যন্ত এ দপ্তরে একই অবস্থা। গত চার বছর যাবত টেকনাফ ভূমি অফিসটি অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার চলে আসছে। এ দপ্তরে সহকারী
কমিশনার (ভূমি) ছাড়া বাকি কর্মকর্তা কর্মচারী কক্সবাজার জেলারই বাসিন্দা। এরা মহোজোট সরকারের আমল থেকে একই পদে কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছর থাকার কথা কিন্তু অনেকের ৪/৫ বছর মেয়াদ উত্তীন হয়ে গেছে। রহস্যজনক কারনে এরা এখান থেকে বদলী হচ্ছে না। অথবা বদলী করা হলেও বদলী অর্থের প্রভাবে টেকিয়ে রাখছেন। আজ এমন মন্থব্য বা প্রশ্ন সচেতন মহলের। টেকনাফ ভূমি অফিসের মেয়াদ উত্তীর্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ্রখানকার প্রতিটি মানুষের সাথে সামাজিক ভাবে মিলে গেছে। ফলে  এ দপ্তরটির স্বচ্ছতা, জবাবদীহিতা বলতে নেই। বলতে গেলে টেকনাফ ভূমি অফিসটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং এ দপ্তর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় করে থাকেন। জনগণের ট্যাকেসর টাকা নিয়ে প্রজাতন্ত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারী চলে। জমির মালিকেরা এ দপ্তরে আসে অবাধ্য হয়ে। কেননা এ দপ্তর থেকে জমির মালিকেরা তেমন সেবা পাচ্ছেননা। পাচ্ছে শুধু আর্থিক হয়রানী লাঞ্চনা ও বঞ্জনা। সরকারী নির্ধারিত ফ্রি চেয়ে অতিরিক্ত ফ্রি আদায় করছে জমির মালিকদের কাছে থেকে এ প্রতিষ্ঠান। টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ পৌরসভা ছাড়া হোয়াইক্যং, হ্নীলা, বাহারছড়া, টেকনাফ সদর, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে সর্বমোট মৌজা ৩৫টি। প্রতি ইউনিয়নে একজন করে তহশীলদার থাকার কথা কিন্তু সেখানে বাহারছড়া ও হ্নীলা ব্যাতীত ২ জন তহশীলদার একাদিক ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনগণ। ভূমি অফিসে বাহারছড়া ইউনিয়নে নিয়োজিত তহশিলদারের দায়িত্ব ভবনের সামনে লিখা থাকলে ও বাকি ইউনিয়নে লিখা না থাকাতে জমির মালিকারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। টেকনাফ ভূমি অফিস পরিদর্শন করে ভূক্তভোগীরা জানান, আপনারা সাংবাদিক, জাতীয় বিভেক এবং আপনারা এ দপ্তর সর্ম্পকে কিছু লিখতে পরেননা ?  নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন, এ ভূমি অফিসটির অনিয়ম ও দুর্নীতি অতীতের সকল রের্কড ভঙ্গ করেছে। এ দপ্তরটি বর্তমানে দালাল ও শাসকদলের কতিপয় নেতার নিয়ন্ত্রনে চলছে। দালাল ও প্রভাবশালী নেতা ছাড়া এখানে কোন কাজ হয়না। এদের মাধ্যমে জমির মালিকেরা কাজ সপে দিলে কাজ সহজে হয়ে যায়। এছাড়া জমির মালিক নিজে খতিয়ান সৃজন নামজারী ও অন্যান্য জমির জঠিল কাজ করতে গিয়ে হয়রানী শিকার হতে হয়। তাই জমির মালিকেরা এসব কাজ সহজে করার জন্য বাধ্য হয়ে দালাল বা রাজনৈতিক দলের নেতার কাছে শরাপন্ন হয়। দালাল বা নেতার মাধ্যমে খতিয়ান সৃজন নামজারী স্থান বেদে সর্বোচ্ছ ৩/৪ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্মে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। জমির নামজারী সম্পাদন এটি একটি বানিজ্যে পরিনত হয়েছে। এসব নামজারীর টাকা ঐসব দপ্তরে কি পরিমাণ পৌছে তাহা দালাল ও কর্তা ছাড়া কেউ জানেনা। এসব টাকা নাকি টপটু বটম উপরে চলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এ অর্থ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওরা বশে রেখেছে। নিধারিত দালাল ও শাসকদলের নেতার অবাধ বিচরন লক্ষ্য করা যায় এ দপ্তরে। জন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অবৈধ কাজ কর্ম বৃর্দ্ধির ফলে স্থানীয় ডেইল পাড়া ও অলিয়াবাদ এলাকার বেকার যুবকদের মাধ্যমে বাটতি কাজ শামাল দিচ্ছে। দপ্তরে বিভিন্ন বালাম ও ফাইল ওরা সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মত নড়াছড়া করতে দেখা যায়। এমনকি এসব বালাম ও ফাইল অফিসের বাইরে ও নিতেও দেখা গেছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন