অনুসন্ধানি প্রতিবেদন-৩> ওসির নাম বিক্রি করছে ইয়াবা গড ফাদার বার্মাইয়া শমশু

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী
টেকনাফের ইয়াবা ডিলার হিসেবে খ্যাত বার্মাইয়া শমশুর কুটির জোর কোথায় ও কি ভাবে এই বার্মাইয়া শমশু এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে ফিরে ইয়াবা ব্যবসা করতে পারে তা জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে শমশু এলাকায় থানার ওসিকে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা প্রদান করে তার ইয়াবার রাজত্ব কায়েম করেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
টেকনাফ নিলা ইউনিয়নটি দমদমিয়া চেকপোষ্টের উত্তরে হওয়াতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য এক দারুন সুযোগ হয়েছে। চেকপোষ্ট ছাড়াই ইয়াবার চালান নিয়ে সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে পারে । নিলা থেকে যে সব ইয়াবা যাই তার মধ্যে বেশির ভাগ শমশুর কাছ থেকে ক্রয় করে । কারণ শমশু হল মিয়ানমারের নাগরিক । তাই মিয়ানমারে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি । এ পরিচিতির কারনে শমশু মিয়ানমার থেকে কম টাকায় ইয়াবার বড় বড় চালান আনতে পারে বলে জানাযায় । ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসা করেছে বলে সে অসংখ্য মামলার আসমীও হয়েছে । ইয়াবার চালানসহ তাকে একবার বিজিবির সদস্য রহিম ধাওয়া করেছিল। সে দিন কোন রকম রক্ষা পায়। ককসবাজার লাইনে বর্তমানে এই শমশু একটি যাত্রী বাহী বাস দিয়েছে বলেও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় । সারাদেশে ইয়াবা ছড়িয়ে দেওয়া বড় গড ফাদারের মধ্যে এই শমশু অন্যতম একজন । মিয়ানমার নাকপুরা কাছারিবিল গ্রামে মোহাম্মদ হোছনের ঘরে তার জন্ম হলেও ইয়াবা ব্যবসার স্বার্থে বাংলাদেশে প্রতিষ্টিত হওয়া ছিল তার সব চেয়ে বড় টার্গেট । অবশেষে স্থানীয় কিছু প্রভাব শালী ব্যক্তির মাধ্যমে নিলা পূর্ব শিকদার পাড়ায় বাড়ী নির্মানের মাধ্যমে তার সে আশা পূর্ন করলো । পাশাপাশি বড় বড় ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা ।  মিয়ানমারেও বহু বছর জেল কেটেছে ইয়াবা ব্যবসা করার অপরাধে। ইয়াবা ব্যবসা করে  বাম্র্াইয়া শমশু এ পর্যন্ত অনেক মামলার আসামী হয়েছে । সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাকে যে কবার প্রলাতক আসামী করেছে,প্রত্যেক বারই সে চার্জসিট থেকে পার পেয়ে গেছে । মামলা থেকে সহজে জামিনে মুক্ত হওয়া তার জন্য এটা খুবই সহজ ব্যাপার ।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফরহাদের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান একজন অপরাধীর সাথে পুলিশের কোন সুসম্পর্ক থাকতে পারে না। তিনি আরো বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী বার্মাইয়া শমশুকে আটকের প্রচেষ্টা চলছে। চলবে...