ককপিটে সুন্দরী নায়িকা, সাসপেন্ড দুই পাইলট


মায়াবী চোখের নায়িকা আব্দার করলেন,বিমানের ককপিটে ঢুকবেন। সুন্দরীর আব্দার ফেলতে পারলেন না দুই পাইলট। নায়িকা ঢুকলেন ককপিটে। দেখলেন। চলে গেলেন। এবং এই এলেন,দেখলেন,চলে গেলেনের ফলে শাস্তির কোপ নেমে এল দুই পাইলটের উপর। এয়ার ইন্ডিয়া সাসপেন্ড করল তাঁদের। সরিয়ে দেওয়া হল ডিউটি থেকে।
ঘটনা গত ১৪ জুনের।ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে হায়দ্রাবাদ উড়ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান। যাত্রী ছিলেন দক্ষিণী নায়িকা নিত্যা মেনন। তিনি আবার প্লে ব্যাক-ও করেন। উড়ানের দুই পাইলট জগন এম রেড্ডি এবং এস কিরণকে অনুরোধ করেন,একবার ককপিটে যাবেন।
ইতস্তত করলেও তাঁকে উপেক্ষা করতে পারলেন না পাইলটরা। নিত্যা গেলেন ককপিটে। বিমানচালকের পিছনের আসনে বসে বাসনা মেটালেন।

এখানেই থেমে যাওয়ার ছিল বিষয়টি। কিন্তু দুই বিমানচালকের কপাল মন্দ। উড়ানে হাজির এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের নজরে পড়ে যায় বিষয়টি। তিনি হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

এতেই নড়েচড়ে বসেছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য,পাইলটের ঠিক পিছনে ওই আসন্টিকে বলা হয় দর্শকদের জন্য সংরক্ষিত আসন(observer’s seat)। এটা শুধুমাত্র ডিজিসিএ বা Directorate General of Civil Aviation মনোনীত প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত। সেখানে নায়িকাকে বসতে দিয়ে লঙ্ঘিত করা হয়েছে ডিজিসিএ-এর নিরাপত্তার বিধান।

এভিয়েশন রেগুলেটর এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে AI-এর কাছ থেকে। পাশাপাশি এভিয়েশন রেগুলেটর-এর তরফ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে।

৯-১১ হানার পর থেকে ককপিটে ক্রু বাদে অন্য কোন সদস্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন সময়ে ককপিটে ক্রু বাদে অন্য-দের ঢোকানোর অভিযোগ উঠছে পাইলটদের বিরুদ্ধে। ফলে এবার ককপিটে ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।