ভোট গণনাতেও উৎসবের আমেজ

বাংলা নিউজ: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেলে ৪টায় শেষ হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা স্ব-স্ব কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু করেন। 
তবে কিছু কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের ভোট নির্ধারিত সময়ের পরও গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শুরুর সময়ে কেন্দ্রের আশপাশে মেয়র ও কাউন্সিলর সমর্থকদের বেশ উৎসবের আমেজেই দেখা যায়। এর আগে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। তবে ভোট গ্রহণকালে নানা ধরনের অভিযোগ তোলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান ও তার দল বিএনপি। এর আগে সকাল ৮টায় ৩৯২টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে দু’টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত দেশের ১১তম এ সিটি কর্পোরেশন। গাজীপুর সিটির প্রথম এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও নারী ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬২ জন। নির্বাচনে ৭ জন মেয়র, ১২৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং ৪৫৬ জন সাধারণ আসনের কাউন্সিলরসহ মোট ৫৯১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি ও ১৯টি রয়েছে সংরক্ষিত (নারী) ওয়ার্ড।
নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান টেলিভিশন এবং ১৪ দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান তালা চাবি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও নেজামে ইসলাম পার্টির মওলানা রফিকুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েও জাহাঙ্গীর আলমের আনারস প্রতীক থেকে যায় ব্যালটে।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। অন্যরা হলেন- আমান উল্লাহ (তালা), ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ঘোড়া), মো. জাহাঙ্গীর আলম (আনারস), মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল (হাঁস) ও রিনা সুলতানা (প্রজাপতি)।
নির্বাচনে ৩৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের কাজে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ ৭ হাজার ২৫৯ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। তাদের মধ্যে ৩৯২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২ হাজার ২৮৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ৫৭৮ জন পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন।
নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২ প্লাটুন সদস্য, ৮৪৭ জন ৠাব ও আনসার সদস্যসহ ১১ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৠাবের ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার টহল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন