নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারী বরাদ্দের টাকার ব্যাপক হরিলুট চালিয়ে অবশেষে কাল কক্সবাজার ছাড়ছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। গত ৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় গণমাধ্যমে ‘সড়ক বিভাগে হরিলুট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তার বদলীর আদেশ আসে। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের নিবার্হী প্রকৌশলী নুর-ই- আলম। রবিবার সড়ক বিভাগে জাহাঙ্গীর আলমের বিদায় সংর্বধনা অনুষ্ঠিত হবে। লুটপাটের কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে তার সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সূত্রে জানা গেছে, ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে আলোচিত-সমালোচিত এই নিবার্হী প্রকৌশলী বদলীর আদেশ পাওয়ার পর পেছনের তারিখ দিয়ে প্রায় অর্ধশত প্যাড কোটেশন দেখিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই রেকর্ড সংখ্যক প্যাড কোটেশন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, কোন নিবার্হী প্রকৌশলী বদলি হলে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদাররা খুশি হয়ে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু এই নিবার্হী প্রকৌশলীর অনিয়ম-দূর্নীতি ও ঠিকাদারদেরকে হয়রাণীর পরিমান এতোই বেড়ে গিয়েছিল যে হাতে গোনা কয়েকজন ঠিকাদার ছাড়া সিংহভাগ ঠিকাদারই ছিল তার বিরোধী। যার কারণে এবারে তার বদলিতে ঠিকাদাররা কোন সংবর্ধনার আয়োজন করেননি। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই লুটপাটের টাকা থেকেই সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। তার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি কোটি টাকারও বেশি নিয়ে কক্সবাজার ছাড়ছেন বলে সড়ক বিভাগে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নিজস্ব বিভাগে অনিয়ম ছাড়াও যোগাযোগ মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীর অতিরিক্ত প্রটোকল ব্যয় দেখিয়েই বেশি টাকা কামাই করেছেন বলে অভিযোগ নিবার্হী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিবার্হী প্রকৌশলীর দায়িত্ব অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে কক্সবাজার থেকে ফেরৎ গেছে বরাদ্দ হওয়া কোটি টাকা। এছাড়া বরাদ্দ হওয়া টাকার সিংহ ভাগই নয়ছয় করে লুটপাট করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দরপত্র ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে নাম মাত্র কাজ করে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন নিবার্হী প্রকৌশলীসহ সড়ক বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা। তড়িঘড়ি করে কাজ করার কারণে দরপত্রের মাধ্যমে মহাসড়কের সংস্কার কাজেও চরম অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যার কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারের রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে আলোচিত-সমালোচিত এই নিবার্হী প্রকৌশলী বদলীর আদেশ পাওয়ার পর পেছনের তারিখ দিয়ে প্রায় অর্ধশত প্যাড কোটেশন দেখিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই রেকর্ড সংখ্যক প্যাড কোটেশন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, কোন নিবার্হী প্রকৌশলী বদলি হলে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদাররা খুশি হয়ে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু এই নিবার্হী প্রকৌশলীর অনিয়ম-দূর্নীতি ও ঠিকাদারদেরকে হয়রাণীর পরিমান এতোই বেড়ে গিয়েছিল যে হাতে গোনা কয়েকজন ঠিকাদার ছাড়া সিংহভাগ ঠিকাদারই ছিল তার বিরোধী। যার কারণে এবারে তার বদলিতে ঠিকাদাররা কোন সংবর্ধনার আয়োজন করেননি। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই লুটপাটের টাকা থেকেই সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। তার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি কোটি টাকারও বেশি নিয়ে কক্সবাজার ছাড়ছেন বলে সড়ক বিভাগে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নিজস্ব বিভাগে অনিয়ম ছাড়াও যোগাযোগ মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীর অতিরিক্ত প্রটোকল ব্যয় দেখিয়েই বেশি টাকা কামাই করেছেন বলে অভিযোগ নিবার্হী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিবার্হী প্রকৌশলীর দায়িত্ব অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে কক্সবাজার থেকে ফেরৎ গেছে বরাদ্দ হওয়া কোটি টাকা। এছাড়া বরাদ্দ হওয়া টাকার সিংহ ভাগই নয়ছয় করে লুটপাট করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দরপত্র ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে নাম মাত্র কাজ করে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন নিবার্হী প্রকৌশলীসহ সড়ক বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা। তড়িঘড়ি করে কাজ করার কারণে দরপত্রের মাধ্যমে মহাসড়কের সংস্কার কাজেও চরম অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যার কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারের রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা হয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে এবং সড়ক বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগে সরকারী বরাদ্দের হরিলুট চলছে। দরপত্র আহবান না করেই ছোট ছোট প্যাড কোটেশনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন নিবার্হী প্রকৌশলীসহ সড়ক বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা। জরুরী কাজের জন্য বরাদ্দ থাকা বিটুমিন, পাথর, ইট, বুঝরী, লাকড়ীসহ বিভিন্ন উপকরণ এবং টাকাও কাজ না করেই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন তারা। এমনকি এসব উপকরণের বেশির ভাগই গোপনে বিক্রি করে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া গোপনে বিক্রি করে দেয়ার সুবিধার জন্য বরাদ্দ হওয়া উপকরণ সংশ্লিষ্ঠ উপ-বিভাগে না পাঠিয়ে তা নিয়ম ভেঙ্গে সড়ক বিভাগে নিয়ে আসা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে ১০/১৫ দিন আগে থেকেই জরুরী কাজ এবং প্যাড কোটেশনের মাধ্যমে কর্মকর্তারা নিজস্ব লোক দিয়ে নাম মাত্র কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর আগে গত অর্থ বছরে কক্সবাজার সড়ক বিভাগের তিনটি উপ-বিভাগে শতাধিক প্যাড কোটেশনের মাধ্যমে অর্ধ কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন সড়ক বিভাগের এই দূর্নীতিবাজ চক্র। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। কাজ না করার কারণে অর্থ বছরের শেষ সময়ে বরাদ্দের টাকা উদ্বৃত্ত থাকলে জুন ক্লোজিং এর নামে তড়িঘড়ি করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষের দরজা বন্ধ করে প্যাড কোটেশনের মাধ্যমে তা জায়েজ করে নেয়া হয়। রাস্তার খানা-খন্দক সংস্কার, রাস্তার পাশে মাটি দেয়া, ঘাস পরিস্কার করাসহ বিভিন্ন কাজের নামে লাখ লাখ টাকার প্যাড কোটেশন করা হলেও কোন কাজই করা হয়নি। যার কারণে এসব টাকার বিপরীতে সরকারী কোষাগারে কোন রাজস্বও জমা হয়নি। এছাড়া সড়ক উপ-বিভাগ সারি কারখানায় দরপত্র ছাড়াই ব্যাটারী, টায়ারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় এবং মেরামতের কথা বলেও লাখ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এমনকি জামায়াতের সহিংসতায় নিধন করা সড়কের পাশের বেশির ভাগ গাছও রেহায় পায়নি তাদের হাত থেকে। এসব গাছের সিংহ ভাগ তারা বিক্রি করে টাকা পকেটস্থ করেছেন। একই ভাবে গত অর্থ বছরে (আরএফকিউ) দেখিয়ে লুটে নেয়া হয়েছে আরো ৩০ কোটি টাকা। ৩০ জুন এর আগে দ্রুত মহেশখালীর জনতাবাজার-গোরকঘাটা সড়কের ছনখোলা পাড়া এলাকায় ব্রীজ এপ্রোচ কাজ দেখিয়ে এক ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টাকা মেরে দেয়া হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়া হয়। চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কক্সবাজারের বাংলাবাজার এলাকায় ভাঙ্গাব্রীজ এলাকায় বছর দুয়েক আগে একটি বেইলী ব্রীজের সরঞ্জাম আনা হলেও গত অর্থবছরে ওই বেইলি ব্রীজ এবং কাটাফাঁড়ি ব্রীজ দুটির আরএফকিউ দেখিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা করেন ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, গত অর্থ বছরের শেষ সময়ে মাত্র ৫/৬ মাস আগে রামু ফতেখারকুল-মরিচ্যা সড়কে কোটি টাকার সংস্কার কাজ করা হলেও ফের ওই সড়কে আবারো ২ প্যাকেজে ৪৯ লাখ টাকার কাজ করা হচ্ছে। সেখানে আগের কাজের উপর নামে মাত্র কাজ করে সিংহ ভাগ টাকা ভাগবাটোয়ারায় মেতেছেন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার। এভাবে সরকারের বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে, ক্ষেত্র বিশেষে কাজ না করেই অনিয়ম-দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আÍসাৎ করা হচ্ছে। ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সড়ক গুলোর বেহাল অবস্থা ভেসে উঠছে। এছাড়া খুরুশকুল-চৌফলদন্ডী সড়কে কাজ না করেই চূড়ান্ত বিল দিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে নামে মাত্র সেই কাজ দেখানো হয়েছে। এমনকি ওই সড়কের বরাদ্দের প্রায় ১ কোটি টাকা নিবার্হী প্রকৌশলীর দায়িত্ব অবহেলার কারণে ফেরৎ গেছে। এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এসব অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করে খুরুশকুল-চৌফলদন্ডী সড়কের টাকা ফেরৎ যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন